Johnson & Johnson: ২০২৩ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের ঘোষণা জনসন অ্যান্ড জনসনের

গত কয়েক বছরে J&J কোম্পানির বিরুদ্ধে ৩৮ হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের হয় আমেরিকায়। ক্রেতাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে, জনসন বেবি পাউডারে অ্যাজবেস্টসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। যা শিশুদের জন্য চরম ক্ষতিকর।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
Published on

২০২৩ সাল থেকে বাজারে আর পাওয়া যাবে না জনসন অ্যান্ড জনসন বেবি পাউডার। এই ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির বেবি পাউডার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বহু অভিযোগ উঠেছে। সেদিকে নজর রেখে শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী পাউডার বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন (Johnson & Johnson) কোম্পানি।

গত কয়েক বছরে J&J কোম্পানির বিরুদ্ধে ৩৮ হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের হয় আমেরিকায়। ক্রেতাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে, জনসন বেবি পাউডারে অ্যাজবেস্টসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। যা শিশুদের জন্য চরম ক্ষতিকর। এছাড়া, এই পাউডারের থেকে ছড়ানো কার্সিনোজেন থেকে ক্যান্সার হতে পারে।

২০২০ সালে আমেরিকার এক আদালত J&J কোম্পানিকে ১৫ হাজার কোটি টাকার জরিমানা করে। আদালত জানায়, কোম্পানিটি শিশুদের পণ্য নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে।

এই ঘটনার পরেই, আমেরিকা এবং কানাডায় এই পাউডার বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্বজুড়ে চাহিদা কমে যায় J&J বেবি পাউডারের। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে J&J কোম্পানি। অবশেষে, বৃহস্পতিবার J&J কোম্পানি ২০২৩ সাল থেকে নিজেদের তৈরি বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

যদিও, J&J কোম্পানি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, কয়েক দশকের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় এটা প্রামানিত যে বেবি পাউডার অ্যাসবেস্টস-মুক্ত এবং নিরাপদ।

প্রসঙ্গত. ১৮৯৪ সাল থেকে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডার বিক্রি হয়ে আসছে। এই পণ্যটি পরিবার বান্ধবের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। কিন্তু, ২০২৩ সালের পর তা আর বাজারে মিলবে না।

প্রতীকী ছবি
EVM Controversy: ভোট গননায় EVM-এর বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ, মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in