কানাডাবাসী তাঁদের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফের জাস্টিন ট্রুডোকেই বেছে নিলেন। কনজারভেটিভ দলের প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন লিবারাল দলের জাস্টিন ট্রুডো। এই নিয়ে তৃতীয় বার কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে বসবেন ট্রুডো। তবে টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলির অনুমান, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবেন না তিনি।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ৩৩৮টি আসনের মধ্যে ১৫৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে শাসক দল লিবারেল পার্টি। ১২৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কনজারভেটিভ দল। তবে কানাডিয়ান ব্রডকাস্ট জানিয়েছে, এখনও ভোট গণনা বাকি রয়েছে অনেক।
ইতিমধ্যেই দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রুডো। ট্যুইটারে তিনি জানিয়েছেন, "ধন্যবাদ কানাডা, আপনাদের ভোট দেওয়ার জন্য, লিবারেল দলের ওপর আপনাদের আস্থা রাখার জন্য, নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ বেছে নেওয়ার জন্য। কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই শেষ হতে চলেছে আমাদের। আমরা কানাডাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, সকলের জন্য।"
কোভিড বিধি মেনে গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে নির্বাচনের প্রচার চলেছে কানাডা জুড়ে। প্রচারে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর হাতিয়ার ছিল কোভিড টিকা। ট্রুডোর দাবি, পুরোপুরি টিকাকরণের পথে কানাডা। অপরদিকে বিরোধী দলে প্রধান মুখ এরিন ও'টুলের দাবি, টিকা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। টিকাকরণের জন্য দেশবাসীর ওপর চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। তিনি তাঁর দলের প্রার্থীদের টিকাকরণ নিয়েও বিস্তারিত তথ্য দেননি।
প্রসঙ্গত, ৪৯ বছরের জাস্টিন ট্রুডো দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর ছেলে। ২০১৫ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসেন জাস্টিন ট্রুডো। ২০১৯ সালে ফের একবার কুর্সিতে বসেন তিনি। এবার আরো একবার কানাডাবাসী তাঁকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ট্রুডোর সরকার গঠন এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন