কাবুলে বিমানবন্দরের বাইরে পরপর একাধিক আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ও এলোপাথাড়ি গুলির জেরে কমপক্ষে ৬০ জন আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। এছাড়াও ১৩ জন মার্কিন সেনাও নিহত হয়েছেন। এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে ISIS।
এক অফগান আধিকারিক জানিয়েছেন, শিশু সহ কমপক্ষে ৬০ জন আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৪০ জনের বেশি নাগরিক আহত হয়েছেন। অপরদিকে এক মার্কিন আধিকারিক জানিয়েছেন, ১১ জন মেরিন এবং একজন নৌবাহিনীর চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। আরো ১২ জন আহত হয়েছেন।
প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের সামনে। দেশ ছাড়তে মরিয়া কয়েক হাজার আফগান নাগরিক বিমানে ওঠার জন্য এই গেটের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। এরপরের বিস্ফোরণটি হয় বিমানবন্দর থেকে কিছু দূরে ব্যারন হোটেলের সামনে। বিমান ধরার জন্য ব্রিটিশ নাগরিকরা অপেক্ষা করছিলেন এখানে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানবন্দরের আশেপাশে ছড়িয়ে রয়েছে মৃতদেহ। বাইরের পরিখায় ভাসছে মৃতদেহ। পরিখার জলের রং লাল হয়ে গেছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, "এক মুহুর্তের জন্য আমি ভাবলাম আমার কানের পর্দা ফেটে গেছে এবং আমি শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেছি। টর্নেডোতে প্লাস্টিকের ব্যাগ যেভাবে হাওয়ায় ভাসে সেভাবে মৃতদেহ বাতাসে উড়ছিল। আশেপাশে শিশু-বৃদ্ধের মৃতদেহ, দেহের অঙ্গ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল। আহতরা কাতরাচ্ছিলেন।"
এই বিস্ফোরণের তীব্র নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেন। হোয়াইট হাউস থেকে তিনি জানিয়েছেন, "আমরা কাউকে ক্ষমা করবো না। এই ঘটনা আমরা ভুলবো না। এর মূল্য ওদের দিতেই হবে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন