ইজরায়েলের হানাদারিতে লেবাননে কমপক্ষে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪০০-র বেশি। হতাহত ও আহতদের মধ্যে মহিলা ও শিশুদের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘ, নিরাপত্তা পরিষদ এবং অন্যান্য দেশের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানান, এখানকার পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। অবিলম্বে ইজরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করে এই হামলা বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
ইতিমধ্যেই বেইরুটের একাধিক স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একইভাবে বেক্কা ভ্যালিতেও সমস্ত স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। লেবাননের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, যেসব অঞ্চলে ইজরায়েলি হানাদারি চলছে সেই সব অঞ্চলের স্কুল এবং সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী দু’দিন বন্ধ রাখা হবে।
জানা গেছে গাজা এবং লেবাননে একযোগে আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েল। লেবাননে তাদের আক্রমণের নিশানায় হিজবুল্লা এবং গাজায় হামাস। লেবাননের পাশাপাশি গত ৭২ ঘণ্টায় গাজায় কমপক্ষে তিনটি ত্রাণ শিবির, শতাধিক বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইজরায়েল।
গাজার সাধারণ মানুষ মনে করছেন ইজরায়েল গাজার পাশাপাশি লেবাননে হামলা চালিয়ে বিশ্বের নজর অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে এবং প্যালেস্টাইনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা পিছিয়ে দিতে চাইছে।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনির মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন ইজরায়েলি সেনাবাহিনি লেবাননের বেক্কা ভ্যালিতে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপাতত আকাশপথেই লেবাননের ওপর হামলা জারি রাখা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ইজরায়েলের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তাদের সেনাবাহিনি লেবাননে কমপক্ষে তিনশো লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়েছে। লেবাননের বিন্ট জবেল, আইতারউন, মাজদাল সেলেম, হুলা, তউরা, হারিস, নাবি চিট, তারায়্যা, হারবাতা, লিবায়া এবং শোমর অঞ্চলে আক্রমণ চালানো হয়েছে।
জানা গেছে মূলত ড্রোন এবং ফাইটার জেট বিমান সহযোগেই এই আক্রমণ চালানো হচ্ছে। লেবাননের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইজরায়েল যেখানে যেখানে হিজবুল্লার ঘাঁটি আছে বলে মনে করছে সেখানেই আক্রমণ চালাচ্ছে।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, লেবাননের পশ্চিম বেক্কা অঞ্চলে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে ইজরায়েল।
রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে লেবাননের টেলিকম অপারেটার ওগেরো-র প্রধান ইমাদ কিরদিহ জানিয়েছেন, তারা ইজরায়েল থেকে প্রায় ৮০ হাজার উড়ো ফোনকল পেয়েছেন, যেখানে লেবাননের মানুষকে তাঁদের ঘর খালি করে বেরিয়ে যেতে বলা হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন