শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসলেন বামপন্থী নেতা দীনেশ গুনাবর্ধনে। মাহিন্দা রাজাপক্ষের পদত্যাগের পর তিনি মসনদে বসেন। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে বামপন্থী দল মহাজনা একসাথ পেরামুনা-র নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
শ্রীলঙ্কার সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হইয়েছেন রনিল বিক্রমাসিঙ্ঘে। ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন দীনেশ গুনাবর্ধনে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথে নেওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রনেতাদের তরফ থেকে শুভেচ্ছাবার্তাও পেয়েছেন। ৭৩ বছর বয়সী রাজনীতিবিদের জীবন সংগ্রামের দিকে তাকালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসছে। যা অনেকের কাছে এখনও অজানা।
জেনে নেওয়া যাক দীনেশ গুনাবর্ধনের পরিচয় –
দীনেশ জন্মগ্রহণ করেন মূলত একটি বামপন্থী পরিবারেই। দীনেশের সম্পূর্ণ নাম দীনেশ চন্দ্র রুপাসিঙ্ঘে গুনাবর্ধনে। তাঁর পিতা ফিলিপ গুনাবর্ধনে স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ শাসিত শ্রীলঙ্কার অন্যতম বামপন্থী নেতা ছিলেন। যিনি শ্রীলঙ্কার জনগণের কাছে সমাজতন্ত্রের জনক রূপে পরিচিত।
পিতার মৃত্যুর পর তিনি এমইপি দলের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু পরাজিত হন। ১৯৮৩ সালে মাহাগ্রাম কেন্দ্র থেকে ২৭,০৫৪ টি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন তিনি। ১৯৮৯-২০২০ সাল পর্যন্ত দীনেশ কলোম্ব জেলা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ১৯৯৪ সালে পুনরায় হারের মুখ দেখতে হয়। ২০০০ সালে তিনি পিপলস অ্যালায়েন্সে থেকে ১১৪,৭৯৫ টি ভোটে জয়যুক্ত হন। ২০০১ সালেও পিপলস অ্যালায়েন্সের হয়েই নির্বাচনে লড়েন তিনি। ২০০৪-২০১৫ সাল পর্যন্ত তাঁর দল UPFA জোটে যুক্ত হয়ে নির্বাচনে লড়ে।
২০০০ সালে তিনি শ্রীলঙ্কার পরিবহন মন্ত্রীর হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ও জলবন্টন দপ্তরের মন্ত্রীত্ব সামলেছেন। সেইসাথে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৭ সালে প্রতিমন্ত্রীর পদ হারান তিনি। ২০০৮ সালে চিফ গভর্মেন্ট হুইপ নিযুক্ত হন। ২০১৫ সালে পুনরায় জলবন্টন দপ্তরের মন্ত্রীত্বভার গ্রহণ করেন দীনেশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন