দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অপসারিত হতে হয়েছিল ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দ্য সিলভাকে। যদিও ব্রাজিলে প্রবল জনপ্রিয় লুলার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি। গত সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে সেখানকার সুপ্রিম কোর্ট। আর এতেই ফের একবার দেশের প্রেসিডেন্ট পদে ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বামপন্থী লুলার। ফিরে আসার পথ পরিষ্কার হতেই ফের দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বোলসানারোর ওপর কড়া আক্রমণ হেনেছেন লুলা।
এর ফলে আগামি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কট্টর দক্ষিণপন্থী জোয়ার বোলসোনারোর উপর নিজের আসন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ এসে পড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এডসন ফাচিন জানান, ২০০৩ ও ২০১০ সালে প্রেসিডেন্ট থাকা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা লুলার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছিলো তা থেকে তাঁকে বেকসুর করে দেওয়ার রায়কে পুনরায় চ্যালেঞ্জ করা যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো। তিনি জানিয়েছেন, ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে গভীর যোগাযোগ রয়েছে বিচারপতি ফাচিনের। তাই এই রায় নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু পুরো পদ্ধতিটি একটি নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে দিয়ে করতে হবে।
উল্লেখ্য, অর্থ তছরূপ ও ঘুষ নেওয়ার দায়ে ২০১৮ সালে লুলাকে ১২ বছরের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ব্রাজিলের অভিজাতদের মধ্যে দুর্নীতি নিয়ে এক অভিযান 'অপারেশন কার ওয়াশ'-এ অভিযুক্ত হন তিনি। এর ফলে সেই বছর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লুলা দাঁড়াতে পারেননি। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করে এসেছেন লুলা। তিনি বারবারই জানিয়েছেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁকে পদ থেকে সরানোর জন্য এমনটা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লুলাকে অভিযুক্ত করেছিলেন যে বিচারপতি সেই সেরগেই মোরো পরবর্তী সময়ে বোলসোনারো সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন