মালদ্বীপ সরকারের ‘ভারত-বিরোধী অবস্থান’ উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে – এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মালদ্বীপের দুই প্রধান বিরোধী দল। সম্প্রতি মালদ্বীপ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উপকূল বন্দরে এক চীনা জাহাজ হাজির হবে।
ঘোষণার দু’দিন পরে মালদ্বীপের প্রধান দুই বিরোধী দল - মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টি (MDP) এবং ডেমোক্র্যাট দল সরকারকে সতর্ক করেছে। চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের এই সখ্যতা, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
দুই বিরোধী দলের তরফ থেকে বলা হয়েছে - ‘এমডিপি এবং ডেমোক্র্যাটরা বিশ্বাস করে যে কোনও উন্নয়ন অংশীদারকে বিচ্ছিন্ন করা, দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে।’ দুই বিরোধী দলের পক্ষ থেকেই ভারতকে ‘সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধু দেশ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এমডিপির প্রধান ফাইয়াজ ইসমাইল, সংসদের ডেপুটি স্পিকার আহমেদ সেলিম, ডেমোক্র্যাটস প্রধান হাসান লতিফ এবং সংসদীয় গ্রুপের নেতা আলী আজিম এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন - ‘ভারত মহাসাগরে স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা মালদ্বীপের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য অত্যাবশ্যক।’ প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের ৮৭ আসনের সংসদে দুই বিরোধী দলের দখলে ৫৫টি আসন।
মালদ্বীপের নতুন রাষ্ট্রপতি হিসাবে মহম্মদ মুইজ্জু দায়িত্ব নিয়েছেন ৬ মাসেরও কম সময়। ইতিমধ্যেই তিনি ‘মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব’ কমানোর ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি ভারতকে ১৫ মার্চের মধ্যে সামরিক ব্যক্তিদের প্রত্যাহার করতে বলেছেন। মালদ্বীপে বর্তমানে প্রায় ৮৮জন ভারতীয় সেনা আছে।
পাশাপাশি, এই সপ্তাহের শুরুতে মালদ্বীপ ঘোষণা করেছে যে, একটি চীনা সার্ভে জাহাজকে বন্দরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে এটি মালদ্বীপের জলসীমায় কোনও ‘গবেষণা’ করবে না। সরকারের তরফে বলা হয়েছে – ‘মালদ্বীপ সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির জাহাজকে স্বাগত জানায়।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন