ইয়ঙ্গন, ৯ মার্চ: রাত ৮ টায় কার্ফু উপেক্ষা করে সোমবার রাতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায় মায়ানমারের সবথেকে বড় শহরের প্রতিবাদকারীরা। প্রায় ২০০ পড়ুয়াকে নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে- তাদের সমর্থনে এই গণপ্রতিবাদের আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রতিবাদকারী পড়ুয়ারা ও স্থানীয় বাসিন্দারা দেশে নির্বাচিত সুচি সরকারের সমর্থনে দেশজুড়ে প্রতিবাদ করে আসছিলেন। শুধু প্রতিবাদকারী জনতাই নয়, মিডিয়া কভারেজের উপরও কড়া নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেছে মায়ানমারের সেনাবাহিনী।
জানা গিয়েছে- স্থানীয় ৫টি মিডিয়ার লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে এই খবর সম্প্রচার করার জন্য। এই মিডিয়া সংস্থাগুলো কোনও সংস্থার সাহায্য নিয়েও নিজেদের খবর সম্প্রচার করতে পারবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ৫টি চ্যানেলই সাধারণের প্রতিবাদের ছবি তুলে ধরছিল লাইভ স্ট্রিমিং ভিডিওর মাধ্যমে। মায়ানমারে বহু সাংবাদিককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার পর থেকে। অনেকের বিরুদ্ধে সেখানকার আইন অনুসারে মামলাও দায়ের করা হযেছে। ৩ বছরের জন্য তাঁদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনেক সাংবাদিককেই।
পুলিশ ইয়ঙ্গনের সাঞ্চাউং-ঘিরে ফেলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পালিয়ে যাওয়া প্রতিবাদকারীদের খুঁজে বের করে নিয়ে আসছে। এর প্রতিবাদেই সোমবার রাতে রাস্তায় নেমে আসে জনগণ। এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই আরও বেশি মানুষ রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ে। এবং প্রতিবাদকারীদের উপর ভয় সৃষ্টিকারী চাপ দেওয়া বন্ধ করার দাবিতে উত্তাল হয় রাজপথ। শহরের বেশ কিছু রাস্তায় মানববন্ধও তৈরি করতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন