শারীরিক অবস্থার অবনতির দোহাই দিয়ে আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন মেহুল। সেই মামলার শুনানি শেষে বিচারক জানান, আপাতত চিকিৎসার জন্য ক্যারিবিয়ান দেশ অ্যান্টিগা-বারবুডায় যেতে পারবেন তিনি। তবে সুস্থ হয়ে চিকিৎসকের শংসাপত্র নিয়ে তবেই তাঁকে ডোমিনিকায় ফিরে আসতে হবে। বর্তমানে ডোমিনিকার আদালতে মেহুল চোকসির প্রত্যর্পণের মামলা চলছে। গত ২৩ মে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ অ্যান্টিগা থেকে নিখোঁজ হন মেহুল চোকসি। এই ঘটনায় অপহরণের অভিযোগ করেছিলেন মেহুলের আইনজীবী।
শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন মেহুল চোকসি। চিকিৎসার কারণে তিনি ফিরতে পারবেন অ্যান্টিগাতে। সোমবার এমনই রায় দিয়েছে ডমিনিকা আদালত। তবে বাকি মামলার শুনানি এখনও স্থগিতই রয়েছে। সূত্রের খবর, স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন পিএনবি দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল। সেই চিকিৎসার জন্যই অ্যান্টিগায় ফেরার ছাড়পত্র পেয়েছেন তিনি। সুস্থ হওয়া পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ থাকবে বলেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এরপর ফের তাঁকে ডমিনিকাতে ফিরতে হলে চিকিৎসকদের থেকে ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে দেশ ছাড়েন চোকসি। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এই হিরে ব্যবসায়ীর নামে আর্থিক তছরুপ ও প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। পরে জানা যায়, অ্যান্টিগা নাগরিকত্ব নিয়ে সেই দ্বীপেই আস্তানা গেড়েছেন মেহুল চোকসি। সেদিন থেকে এখনও পর্যন্ত চোকসি আর ভারতে পা রাখেননি।
কিন্তু সম্প্রতি অ্যান্টিগা থেকে কিউবা যাওয়ার পথে তাঁকে ডোমিনিকায় আটক করা হয়। জেলবন্দি অবস্থায় তাঁর ছবি প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপরই চোকসিকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয় কেন্দ্রও। এখনও পর্যন্ত তা সম্ভব না হলেও পলাতক ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরাতে মরিয়া কেন্দ্র।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন