পিএনবি কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসি (Mehul Choksi)-কে রক্ষাকবচ দিয়েছে অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার উচ্চ আদালত। ফলে, ঋণ খেলাপি মামলায় এখনই তাঁকে ভারতে ফেরাতে পারছে না মোদী সরকার।
ডমিনিকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার, আইনি যুদ্ধে জয় লাভ করেন পলাতক হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি। অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার হাইকোর্ট এক নির্দেশে জানায়, চোকসিকে সেই দেশ থেকে অপসারণ করা যাবে না। তাঁকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া যাবে না।
২০২১ সালের জুলাই মাসে, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার হাইকোর্টে একটি মামলা করেন মেহুল চোকসি। সেখানে তিনি দাবি করেন, পুলিশের হাতে গ্রেফতারির পর অমানবিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তিনি।
তিনি দাবি করেন, তাঁকে অপহরণ করে ডোমিনিকায় নিয়ে গিয়েছিল ভারতীয় গোয়েন্দারা। সেখানে তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালানো হয়। এমনকি, তাঁকে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়, ধাক্কা দিয়ে এক নৌকো থেকে অন্য নৌকোয় ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাই, এ নিয়ে অ্যান্টিগুয়ার পুলিশ প্রধান ও অ্যাটর্নি জেনারেলের তদন্ত করা উচিত বলে দাবি করেন তিনি।
আর, এই মামলার শুনানিতেই শুক্রবার, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার উচ্চ আদালত জানিয়েছে, হাইকোর্টের রায় বা অনুমতি ছাড়া মামলাকারী (মেহুল চোকসি)-কে জোর করে অ্যান্টিগুয়া-বারবুডা থেকে কোথাও নিয়ে যাওয়া যাবে না।
৬৩ বছর বয়সী হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার পিএনবি (পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক) দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে মেহুল চোকসি ও তাঁর সংস্থা গীতাঞ্জলি জেমসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের দাবি, চোকসি ও তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদী মুম্বইয়ের ব্র্যাডি হাউস শাখার পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের ঘুষ দিয়ে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন।
আর্থিক দুর্নীতি করার পর থেকেই ভারত থেকে গায়েব হয়ে যান চোকসি। পরে জানা যায়, অ্যান্টিগুয়া-বার্বুডায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকেই এই ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র তাঁর ঠিকানা। সে দেশের নাগরিকত্বও রয়েছে তাঁর কাছে।
২০২১ সালের মে মাসে, ভারতীয় গোয়েন্দারা মেহুল চোকসিকে ধরতে গেলে কিউবা পালানোর চেষ্টা করেন পলাতক হীরে ব্যাবসায়ী। তবে মাঝপথেই তাঁকে গ্রেফতার করে ডোমিনিকা পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন