ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল সোমালিয়ার রাজধানী মগাদিশু। সোবে জংশনের কাছে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ১০০ জনের বেশি মানুষ। আহত ৩০০ জনেরও ওপর। সরকারি সূত্র মোতাবেক, হামলা চালানোর দায় এখনও স্বীকার করেনি কোনো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন।
শনিবার সোমালিয়ার রাজধানী মগাদিশুতে শিক্ষামন্ত্রকের দপ্তর ও একটি স্কুলের পাশেই বিস্ফোরণটি হয়। হামলার জেরে বহু নারী ও শিশুও প্রাণ হারিয়েছে। সোমালিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা SONNA সূত্রে খবর, এক সাংবাদিকও নিহত হয়েছেন এই বিস্ফোরণে।
ওই দেশের রাষ্ট্রপতি হাসান সেখ মহমুদ অভিযোগ করেন, এই বর্বরচিত ঘটনা ঘটিয়েছে আল-শাবাব গোষ্ঠী। তিনি জানান, 'সন্তান কোলে মা, পড়াশোনা করতে আসা পড়ুয়ারা, ব্যবসায়ীরা সকলেই বিস্ফোরণে মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে এই ধরণের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে আমরা আগেও পরাজিত করেছি, আগামীতেও করব।'
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রথম বিস্ফোরণটি হয় শিক্ষামন্ত্রকের দপ্তরের সামনে। দ্বিতীয়টি হয় একটি অ্যাম্বুলেন্সের পাশে। যেটি সাধারণ মানুষ ও আক্রান্তদের বাঁচানোর জন্য এসেছিল। দুটি গাড়িতে বিস্ফোরক রাখা ছিল।
SONNA-র সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী রবিবার সোমালিয়ার সেনা বাহিনী, মধ্য শাবেলে অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আলী গাদুদ গ্রামের একটি মসজিদ থেকে আল-শাবাব গোষ্ঠীর সদস্যদের বের করে দেন। এই অভিযান চলাকালীন প্রায় ১০০ জন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এরপরই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, আল-শাবাব গোষ্ঠীগুলি দীর্ঘদিন ধরেই সোমালিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান চালাচ্ছে। এই সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য, সরকারের পতন ঘটিয়ে নিজেদের নিয়মানুযায়ী সোমালিয়াকে কঠোর ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করা। এই হামলাও সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের একটি উদাহরণ হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসেও এই একই জায়গায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল, যাতে ৫০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন