ভয়াবহ পরিস্থিতি পড়শি দেশ নেপালের। বন্যার কারণে একাধিক জায়গায় ধস নেমে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২০০ জন। নিখোঁজ অন্তত ৩০ জন। নেপাল সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত কম-বেশি ৪ হাজার জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
গত শুক্রবার থেকে লাগাতার বৃষ্টি চলছে নেপাল জুড়ে। যার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার ফলে ধস নেমেছে বিভিন্ন জায়গায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বন্যার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯২ জন। নিখোঁজ অন্তত ৩০ জন। দেশজুড়ে ৯৪ জন আহত হয়েছেন। বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ।
নেপাল প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর হাইওয়েতে ধস নেমে তিনটি যাত্রীবাহী গাড়ি চাপা পরে। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। অন্যদিকে, এই ধস নামার ফলে বন্ধ রয়েছে একাধিক রাস্তা। যার ফলে আটকে রয়েছে একাধিক গাড়ি।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে তিন হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মীকে। হেলিকপ্টার এবং মোটরবোটের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন এলাকায় পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন তাঁরা। পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণসামগ্রীও।
দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ঋষিরাম তিওয়ারি বলেছেন, ‘‘কাঠমান্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করতে আমাদের উদ্ধারকারীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। এখনও পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষকে আমরা উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে পেরেছি। ধসের পর ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে হাইওয়ে মেরামত করার কাজও শুরু হয়েছে।“
আন্তর্জাতিক কেন্দ্র ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্র ও শনিবার পূর্ব ও মধ্য নেপালের বিশাল অংশে অবিরাম বৃষ্টিপাতের পর কাঠমান্ডুর প্রধান নদী বাগমতি বিপদসীমার উপরে বইছে। যার ফলে ভেসে গিয়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি এবং অনেক গাড়ি। বন্যা ও ভূমিধসের ফলে বিপর্যস্ত জীবনযাত্রা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন