কঙ্গোর নিয়ারাগঙ্গ পাহাড়ের আগ্নেয়গিরিতে লাভা উদগিরণে এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা। UNICEF-এর তথ্য অনুসারে প্রায় ১৭০ জন শিশু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং তাঁদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গত শনিবার আচমকাই লাভা উদগিরণ শুরু হবার পর স্থানীয় গোমা শহরের পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলো কঙ্গো প্রশাসন। শনিবার সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ এই আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা উদগিরণ শুরু হয়।
ইউনিসেফের পক্ষ থেকে এক ট্যুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, প্রায় ১৫০ জন শিশু তাদের পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং গোমা শহর ছেড়ে পালানোর সময় ১৭০ জনের বেশি শিশু নিখোঁজ হয়েছে।
গত শনিবার নিয়ারাগঙ্গ আগ্নেয়গিরি আচমকাই লাভা উদগিরণ করতে শুরু করলে স্থানীয় গোমা শহর ছাড়ার নির্দেশ দেয় কঙ্গো প্রশাসন। প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ এই শহরে বসবাস করেন। জানা গেছে গোমা শহরের ২৫ হাজারের বেশি মানুষ লাভা উদগিরণে গৃহহীন হয়েছেন। ৫ হাজারের বেশি মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ রোয়ান্ডায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। গোমা শহরের বিস্তীর্ণ অংশ লাভার আস্তরণে ঢাকা পড়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে বহু বাড়ি। ইউনিসেফ জানিয়েছে, গরম লাভা ঠান্ডা হবার পর কিছু মানুষ নিজেদের অঞ্চলে ফেরার চেষ্টা করছেন।
ইতিমধ্যেই উদ্ধার কাজে হাত লাগাতে ইউনিসেফ-এর বিশেষ উদ্ধারকারী দল সাকে, বুহেনে, কিবাতি, কিবুম্বা অঞ্চলে গেছে। জানা যাচ্ছে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বুহেনে অঞ্চল। যেখানে প্রায় সব বাড়ি লাভা স্রোতে পুড়ে গেছে। ওই সব অঞ্চলে জরুরি ভিত্তিতে পানীয় জলের সংকট মেটানোর চেষ্টা চলছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন