ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল মায়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী আং সান সু চির। আরও তিন বছর জেলেই থাকতে হবে সুচিকে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘন করার অভিযোগেই এমন নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের আদালত।
এতদিন আং সান সু চি জেলেই ছিলেন দুর্নীতির দায়ে। তবে এবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠল অন্য অভিযোগ। আদালত সূত্রে খবর, সুচি বিভিন্ন জায়গায় রাষ্ট্রের গোপন নথি পাচার করেছেন। যার ফলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ভেঙে পড়তে পারে। সান সু চির সাথে মায়ানমারেরই প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সিয়ান টার্নেলেরও তিন বছরের জেল হেফাজত হয়েছে। এই বছরের এপ্রিল মাসে সু চিকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পাঁচ বছরের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত বছর থেকে মায়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। ওই বছরের ফেব্রুয়ারির গোড়ায় মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার করা হয় এনএলডি নেত্রীকে। নেত্রীর গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। সু চির পাশাপাশি একাধিক রাজনৈতিক নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ। গণতন্ত্র ফেরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন স্বয়ং মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
গত বছর পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি বড় শহরগুলোতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রচুর সেনা নামে। রায়ট পুলিশ, জলকামানের ট্রাক এবং সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। যাতে আন্দোলনকারীদের আটকে রাখা যায়। মান্ডালার রাস্তায় হাজারো ইঞ্জিনিয়াররা নেমে স্লোগান দিয়েছিলেন - 'ফ্রি আওয়ার লিডার', 'কারা বিচারের জন্য রয়েছেন?', 'বেআইনিভাবে মাঝরাতে গ্রেপ্তার করা বন্ধ করুন' ইত্যাদি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন