মার্কিন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি মঙ্গলবার সফরে এসেছেন তাইওয়ানে। যা নিয়ে আমেরিকা-চীন সংঘাত চরম রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাইওয়ানে আকাশে মহড়া দিচ্ছে চীনা যুদ্ধবিমান। এবার ন্যান্সিকে ভীরু বলে কটাক্ষ করল চীন।
বিশ্ব রাজনীতিতে আমেরিকা ও চীনের সম্পর্ক কারুর অজানা নয়। বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশ একে অপরকে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নিজেদের অবস্থান নিয়ে। সেই সংঘাত চরমে উঠল ন্যান্সির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে। তাইওয়ান সীমান্ত বরাবর বহু ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়েছে চীনের তরফ থেকে। দ্বীপরাষ্ট্রটি জানিয়েছে চীনের ২১ টি যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমার মধ্যে প্রবেশ করেছে।
মার্কিন স্পিকার বলেন, 'এই সফর বিশ্বকে বার্তা দিচ্ছে যে তাইওয়ানের পাশে আমেরিকা আছে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসগরে তাইওয়ান আমাদের একটি শক্তিশালী, গণতান্ত্রিক অংশীদার'। তিনি আরও বলেন, তাইওয়ানের ২৩ মিলিয়ন মানুষের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। মানুষ জানে স্বৈরাচার ও গণতন্ত্রের পার্থক্য।'
ন্যান্সির সফর নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে চীন। চীন বলেছে, মার্কিন স্পিকার রাতের অন্ধকারে ভীরুর মতো তাইওয়ান সফরে এসেছেন। সময়সূচী প্রকাশ করার সাহস পায়নি মার্কিন আধিকারিকরা।
ন্যান্সির সফরের আগেই হুঁশিয়ারি দেন চীনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। তিনি জানিয়েছিলেন, মার্কিন কূটনীতিবিদ যদি তাইওয়ান সফরে যান তবে পিপলস লিবারেশন আর্মি কিন্তু হাত গুটিয়ে থাকবে না। সেই হুঁশিয়ারির বাস্তবায়ন করছে চীন।
বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চীন। একাধিকবার চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানের মিশে যাওয়ার কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ান নিয়ে চীনের পাশে দাঁড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, তাইওয়ান চীনেরই অংশ। এটি সম্পূর্ণ চীন ও তাইওয়ানের ব্যাপার। বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন