সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্বকারী বিশ্ব নেতাদের পাশে ঠাঁই নরেন্দ্র মোদির: RSF রিপোর্ট

সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ২ দশক ধরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে বিশ্বের বেশ কিছু নেতা। রাষ্ট্র বা সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সবসময়ই কাঁচি চালিয়ে এসেছে।
নরেন্দ্র মোদি
নরেন্দ্র মোদি ফাইল চিত্র
Published on

সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে সিদ্ধহস্ত বিশ্বের তাবড় নেতাদের পাশে এবার স্থান করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক মিডিয়া ওয়াচডগ 'রিপোর্টার্স সনস ফ্রন্টিয়ার্স' (আরএসএফ)-এর তৈরি করা তালিকাতে মায়ানমারের সেনা জেনারেল মিন অং লেইং, ব্রাজিলের জাইর বোলসোনারো, ইরানের আলি খামেইনি, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন-এর পাশেই জায়গা করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আরএসএফ-এর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন মোদি। আরএসএফ উল্লেখ করেছে, নিজের জাতীয় আদর্শ তুলে ধরার স্বার্থে প্রথম সারির মিডিয়াকে তৈরি করে তোলা। এরপর কোটিপতি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চুক্তি করা, যাদের বেশিরভাগই মিডিয়া হাউজগুলোর মালিক। ২০২১ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪২ নম্বরে রয়েছে ভারত। আরএসএফ-এর প্রধান কার্যালয় রয়েছে ফ্রান্সে। যা বিশ্বের নন প্রফিট একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যা তথ্য স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার কাজ করে থাকে।

সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ২ দশক ধরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে বিশ্বের বেশ কিছু নেতা। রাষ্ট্র বা সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সবসময়ই কাঁচি চালিয়ে এসেছে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অভিযোগে সাংবাদিকদের জেলে পাঠানো হয়ে থাকে। এমনকী, প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষভাবে সাংবাদিকদের হত্যার পিছনেও হাত থাকে এইসব সরকারের।

বিশ্ব নেতাদের পাশে মোদির কথা উল্লেখ করতে গিয়ে আরএসএফ জানিয়েছে, ২০০১ সালে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই নিজের নিয়ন্ত্রণে সংবাদমাধ্যমকে আনার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। যা পূর্ণতা পেয়েছে ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in