নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন বা ন্যাটোর সদস্য হতে চেয়েছিল ইউক্রেন। কিন্তু সেটা পছন্দ ছিল না প্রতিবেশী দেশ রাশিয়ার। মস্কো কোনও দিন চায়নি ইউক্রেন আমেরিকার নেতৃত্বাধীন এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে ন্যাটোর সীমানা বৃদ্ধি করুক। এমনিতেও রাশিয়া চায় না কোনওভাবেই নাটোর পরিধির আরও বিস্তার ঘটুক। মৌখিক সতর্কতায় যখন কোনও কাজ হয়নি। তারপরেই সশস্ত্র হামলা চালায় মস্কো।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষ পর প্রায় এক মাস হতে চলল। এখনও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই দুই প্রতিবেশী দেশের। উভয়পক্ষের শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। সমাধান সূত্র বেরোয়নি। জেলেনস্কি সমঝোতা করতে রাজি বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও কার্যকর কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি।
ইতিমধ্যেই এই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে অর্থনৈতিকভাবে গোটা বিশ্বে। রাশিয়ায় একের পর এক আমেরিকার কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। ইউক্রেনের অবস্থা কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। একের পর এক শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তারপরও যুদ্ধ চলছে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়াকে ন্যাটো ভয় পায় কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জেলেনস্কি। ন্যাটো তথা বন্ধু দেশগুলি ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে কেউ এগিয়ে আসেনি।
সোমবার ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম দ্য সাসপিলনেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, 'ন্যাটোর পরিষ্কার করে বলা উচিৎ তারা আমাদের গ্রহণ করছে কিনা। আমার মনে হচ্ছে ন্যাটো রাশিয়াকে ভয় পাচ্ছে। এটা সত্যি। ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি আমাদের সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত না করেই সাহায্যে কথা বলছে। আত্মত্যাগের মাধ্যমেই এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটতে পারে।'
যদিও জেলেনস্কি মেনে নিয়েছেন যে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ পাবে না। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ন্যাটোতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গ নিয়ে আমি কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। ন্যাটো ইউক্রেনকে নিতে চায় না। এই জোট বিতর্ক এড়িয়ে চলতে চায়। এমনকী রাশিয়ার মুখোমুখি হতেও ভীত।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন