নেপালে আস্থাভোটে পরাজিত হলেন প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি। রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারীর নির্দেশে আজ সোমবার এই আস্থাভোট নেওয়া হয়। যে আস্থাভোটে কে পি ওলির পক্ষে ভোট পড়ে ৯৩ এবং বিরোধীদের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৪। আস্থাভোটে প্রধানমন্ত্রীর পরাজয় দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।
এদিন ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি-ইউএমএল-এর কমপক্ষে ২৮ জন সদস্য দলের হুইপ অমান্য করে ভোটদানে বিরত ছিলেন। যাঁদের মধ্যে আছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানাল এবং মাধব চন্দ্র নেপাল। দলীয় হুইপ অমান্য করায় তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে নেপালে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। যে সময় প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন করে নির্বাচনের পক্ষে মত দেন। এরপর গত সপ্তাহে পুষ্পকুমার দহাল ‘প্রচন্ড’র নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওয়িস্ট সেন্টার) সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। যাদের অভিযোগ ছিলো কে পি ওলি সংবিধান ধ্বংস করছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কর্মপদ্ধতি দেশে গণতন্ত্র রক্ষার পক্ষে ক্রমশ ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে।
নেপালে গত কয়েকমাসে শাসকদলের অন্দরে কোন্দল তুঙ্গে উঠতেই প্রচন্ড অভিযোগ করেন সরকার ভেঙে ঘুরপথে দলের উপর কর্তৃত্ব মজবুত করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি। এর পরেই পাল্টা কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডেকে অলিকেই দলের কো-চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেন পুষ্পকমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড। শাসক নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি এক আলাদা কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ডাকে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি ঘোষণা করেন নতুন ১,১৯৯ জন সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন