নিকারাগুয়ার সাবেক মার্ক্সবাদী গেরিলা নেতা ড্যানিয়েল ওর্তেগার সান্দিনিস্তা জোট প্রায় ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। রবিবারের নির্বাচনে প্রাথমিক ভাবে এমনই ফলাফল জানা গিয়েছে। জানিয়েছে নিকারাগুয়ার সুপ্রিম ইলেকটোরাল কাউন্সিল। ১৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কনস্টিটিউশনাল লিবারেল পার্টি। অন্য বিরোধী দলগুলোর প্রাপ্ত ভোট ৫ শতাংশের তলায়। টানা চতুর্থবার প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন ড্যানিয়েল ওর্তেগা।
তবে ওর্তেগার ভূমিকা নিয়ে নির্বাচনের আগে থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল। ভোটের আগে প্রতিদ্বন্দ্বীদের জেলবন্দি করা ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। ফলে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আন্তর্জাতিক মহলে। এবারের নিকারাগুয়ার নির্বাচনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের প্রতিনিধিরা পর্যবেক্ষণের অনুমতি পাননি। সেদেশে ঢুকতে পারেননি বিদেশি সাংবাদিকরাও।
আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানান, নিকারাগুয়ার সরকারের নির্বাচন সংক্রান্ত পদক্ষেপ খতিয়ে দেখবে তাঁরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ সদস্য দেশ বিবৃতি জারি করে বলেছে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে নিকারাগুয়ার ‘স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপান্তর’ হল। স্পেনের বিদেশমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেসের অভিযোগ, নির্বাচনটি অবাধও হয়নি, সুষ্ঠুও হয়নি।
অন্যদিকে সোমবার সন্ধ্যায় মানাগুয়ার রেভ্যুলেশন স্কয়ারে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ওর্তেগা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা করে ‘ইয়াংকি সাম্রাজ্যবাদী’ অ্যাখ্যা দেন। কিউবা, ভেনেজুয়েলা ও রাশিয়া ওর্তেগার প্রতি তাদের সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
আর্জেন্টিনার বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, তারা নিকারাগুয়ার বিরোধী নেতাদের কারাগারে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু বুয়েনস আইরেস অন্য দেশের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার’ কূটনীতিক রীতি মেনে পদক্ষেপ করবে। অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেক্সিকোও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন