অস্ট্রেলিয়াতে দ্রুতহারে বাড়ছে অভিবাসীর সংখ্যা। শুক্রবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে একথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিটিক্স (ABS)। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জুন মাসের শেষ থেকে এই সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লক্ষ ১৮ হাজারে। যা সর্বাধিক বলে দাবি করেছে জিংহুয়া সংবাদ মাধ্যম। প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সময় প্রচুর সংখ্যায় বিদেশী অভিবাসী অস্থায়ী ভিসা নিয়ে প্রবেশ করেছে অস্ট্রেলিয়ায়।
প্রসঙ্গত, দেশে অভিবাসীর আসা এবং যাওয়ার সংখ্যা বিয়োগ করে এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সময় ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার অভিবাসী প্রবেশ করেছে অস্ট্রেলিয়ায়। যা আগের অর্থবর্ষের অনুপাতে ৪ লক্ষ ২৭ হাজার বেশি। অস্ট্রেলিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে সবথেকে কম অভিবাসী এসেছিল ২০০৬-০৭ অর্থবর্ষে।
এবিএস-এর প্রধান জেনি ডোবাকের মতে করোনার কারণে অভিবাসীর সংখ্যা এত বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, "মহামারী চলাকালীন ভ্রমণে বিধিনিষেধের কারণে, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী অনেক অস্থায়ী অভিবাসী সম্প্রতি এসেছেন এবং তাঁরা এখনও পর্যন্ত দেশেই রয়ে গেছেন। যার ফলে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে অভিবাসী প্রস্থানের সংখ্যাটা কমে গেছে।"
তিনি এক সংবাদ মাধ্যমে আরও জানান, "মহামারীর আগে অস্থায়ী অভিবাসীদের আসা যাওয়ার এক অবিরাম প্রবাহ ছিল। মহামারীর পর সেই প্রবাহ আগের মতো করে আর ফিরে আসেনি। বরং এই অর্থবর্ষে অভিবাসনের উপর ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব ফেলেছে৷"
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করা অভিবাসীদের মধ্যে ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার অর্থাৎ ৭৫ শতাংশই অস্থায়ী ভিসায় ছিলেন। যার মধ্যে ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ছিলেন আন্তর্জাতিক অভিবাসী। ভারত থেকে এই অর্থবর্ষে সর্বাধিক (১৪.৩ শতাংশ) অভিবাসী অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন। অভিবাসীর সংখ্যার বিচারে এরপরেই আছে চীন, ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য। অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করা অভিবাসীদের গড় বয়স ছিল ২৭ বছর এবং প্রস্থানের ক্ষেত্রে গড় বয়স ৩৩ বছর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন