মধ্যরাতে হওয়া অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তান অ্যাসেম্বলিতে দিনভর চূড়ান্ত নাটকের পর অবশেষে মধ্যরাতে এই অনাস্থা ভোট হয়। ৩৪২ সদস্যের অ্যাসেম্বলিতে ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি। এর সাথে সাথেই পতন ঘটে ইমরান সরকারের। সোমবার দুপুর ২টায় নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের জন্য অ্যাসেম্বলি অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
অনাস্থা ভোট শুরুর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইমরান খান জানিয়েছিলেন তিনি পদত্যাগ করবেন না, অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হবেন। ভোট শুরুর আগে ইস্তফা দেন অ্যাসেম্বলির স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাসেম্বলি ছাড়েন ক্ষমতাসীন তেহরিক-এ-ইনসাফ দলের সদস্যরা। এরপর নতুন স্পিকার নিয়োগ করে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো রাত ১২ টার আগেই শুরু হয় ভোট দানের প্রক্রিয়া। যদিও শুরুর পরই ফের কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত রাখা হয় তা। অবশেষে অনাস্থা ভোট শুরু হয় এবং ভোট গণনার শেষে দেখা যায় ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়েছে ১৭৪টি।
ইমরানের হারের পরই অ্যাসেম্বলিতে জয় উদযাপন শুরু করে দেন বিরোধীরা। পাকিস্তানের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধী দল পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো। তিনি বলেন, "গত তিন বছর ধরে গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে ছিল। পুরনো পাকিস্তানকে স্বাগত।" অন্যদিকে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন ইমরানের সমর্থকরা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে পারে এই আশঙ্কা করে ইসলামাবাদের সমস্ত হাসপাতালকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর ২টায় নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের জন্য অ্যাসেম্বলি অধিবেশন ডাকা হয়েছে। রবিবার দুপুর দুটোর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ দলের সভাপতি শাহবাজ শরিফ। এছাড়াও দৌড়ে রয়েছেন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন