পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। এই গ্রেফতারি পরোয়ানাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি সহ পাকিস্তানের একাধিক শহরে।
প্রায় ১৫ ঘন্টা অতিক্রান্ত এখনও পুলিশ ও ইমরান খানের সমর্থকদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ অব্যাহত। পুলিশকে লক্ষ্য করে লাগাতার পাথর বৃষ্টি হচ্ছে। পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাচ্ছে পুলিশ। ইমরান খানের দল 'পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ'-র কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। জামান পার্কে তাঁর বাড়িও আক্রমণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইমরান খান।
ইমরান খান সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, "আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কারণ আমি সুস্থ হওয়ার পর অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার জন্য নিরাপত্তা চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে তা দেওয়া হয়নি। আর এটা নিয়ম যে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দেওয়া। কিছু মাস আগে যাদের নির্দেশে আমার পায়ে গুলি চালানো হয়েছিল তারাই এই অরাজকতার সাথে যুক্ত। এদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আমাকে অপহরণ করে খুন করা। আমি আদালতে নিরাপত্তা চাইতে গেলে আমার বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হলো"।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "আমি রাজি ছিলাম গ্রেপ্তারির জন্য। বলেছিলাম আমি প্রস্তুত আছি। কিন্তু আমার সমর্থকরা তাতেই ক্ষুব্ধ হয়। তাদের ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আমি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই পিটিআই কর্মীদের ওপর জেলের মধ্যে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছিল। সেই ঘটনা আমার সাথেও হতে পারে ভেবে পুলিশের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আমার কর্মীরা"।
উল্লেখ্য, ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে 'তোষাখানা মামলায়'। তোষাখানা হচ্ছে একটি কোষাগার যেখানে বিদেশী আধিকারিকরা সরকারি আধিকারিকদের জন্য মূল্যবান উপহার দেন। অভিযোগ, ওই কোষাগার থেকেই তিনটি ঘড়ি বিক্রি করে ৩৬ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মূদ্রায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা) আত্মসাৎ করেছিলেন ইমরান খান। তার বিরুদ্ধেই আদালত গ্রেফতারির নির্দেশ দেয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন