পাকিস্তানের বর্তমান পঙ্গু অর্থনৈতিক অবস্থা শিক্ষিত যুবকদের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলছে। সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে পাকিস্তানের শিক্ষিত যুবকদের ৩১ শতাংশেরও বেশি বেকার। ক্রমশ নিম্নগামী পরিস্থিতির মধ্যে তাঁরা তাঁদের ভবিষ্যত সম্পর্কে অনিশ্চিত।
পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক্স (পিআইডিই) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: "এই ৩১ শতাংশের মধ্যে ৫১ শতাংশ মহিলা এবং ১৬ শতাংশ পুরুষ, যাদের অনেকেরই পেশাদার ডিগ্রি রয়েছে৷ পাকিস্তানের জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ ৩০ বছরের কম বয়সী৷
রিপোর্ট অনুসারে, "বর্তমান বেকারত্বের হার ৬.৯ শতাংশকে উদ্বেগজনক নয় বলেই মনে করা হয় এবং প্রায়শই শিরোনাম হয়৷ শহরাঞ্চলে মহিলাদের কর্মহীনতা বেশি। অন্যদিকে গ্রামীণ অঞ্চলে পুরুষদের মধ্যে বেকারত্ব বেশি।"
উল্লেখযোগ্যভাবে, PIDE রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে কর্মজীবী-বয়স গোষ্ঠীর একটি বড় অংশ দেশের শ্রমশক্তির অংশও নয়। "এঁরা হয় নিরুৎসাহিত কর্মী বা তাদের জীবন নির্বাহ করার জন্য আয়ের অন্যান্য উপায় রয়েছে।"
বেকারত্বের এই হার ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারের নীতি উদ্যোগের মাধ্যমে যুবকদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরির দাবিকে নস্যাৎ করে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেকারত্বের হারের সিংহভাগই শহরাঞ্চলের সাথে যুক্ত, যেখানে সুযোগ ও গতিশীলতার অভাব শিক্ষিত যুবকদের চাকরি থেকে দূরে রেখেছে।
প্রতিবেদনে প্রশ্ন করা হয়েছে কেন শহুরে অঞ্চলগুলিতে বেকারদের যে ধরনের সুযোগ দেওয়া করা উচিত তা দিচ্ছে না? পাশাপাশি এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও তোলা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে পাকিস্তান তার জনগণকে একটি উন্নত প্রগতিশীল ভবিষ্যতের জন্য ব্যবহার করতে এবং শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য এই ধরনের সুযোগগুলি দিতে পারছে কিনা।
প্রতিবেদনে জোরের সাথে বলা হয়েছে যখন বিশেষ করে যুবরা দেশের মোট জনসংখ্যার বড়ো অংশ তখন সরকার এবং বেসরকারি কর্মক্ষেত্রের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত যুবদের যুক্ত করা। এক-তৃতীয়াংশ যুবক, গ্রামীণ এবং শহর উভয় ক্ষেত্রেই, সরকারি ব্যবস্থা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কারণ, তারা নিযুক্ত বা নথিভুক্ত নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "মহিলাদের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার হার বেশি। এঁদের ৬০ শতাংশ কোনো কাজে যুক্ত নয় বা পড়াশোনা করে না।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন