Panjshir: ‘আমি আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে,আত্মসমর্পণ শব্দটা আমার জানা নেই’

মাসুদ বলেন - আট দিন আগেও আমি বিদেশি শক্তির কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলাম
আহমেদ মাসুদ
আহমেদ মাসুদছবি - সংগৃহীত
Published on

একদিন আগে পর্যন্ত মনে করা হচ্ছিল যে, পঞ্জশিরও তালিবান দখল করে নিল। কারণ, নর্দার্ন অ্যালায়ান্স নেতা আহমেদ মাসুদ তালিবান নেতাদের সঙ্গে অস্ত্র সংবরণ করা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন, এরকম খবরও প্রকাশিত হয়েছিল এক সংবাদপত্রে। কিন্তু তা যে সঠিক নয়, নিজেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মাসুদ। প্রায় ন’হাজার সেনা নিয়ে তৈরি তাঁরা।

মাসুদ ফরাসি দার্শনিক বের্নার-অঁরি লেভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে। আত্মসমর্পণ শব্দটা আমার জানা নেই। গত কয়েক দিনে হাজার হাজার ছেলে আমাদের বাহিনীতে যোগ দিয়েছে।’ তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ-সহ বড় রাষ্ট্রনেতাদের কাছে নর্দার্ন অ্যালায়ান্সকে সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করার আর্জি জানিয়েছেন।

মাসুদ বলেন, ‘আট দিন আগেও আমি বিদেশি শক্তির কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলাম। আজ নিশ্চয় তাঁরা বুঝতে পারছেন, সেই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক ভুল ছিল।' যদিও তিনি কারওর নাম উল্লেখ করেননি।

নর্দার্ন অ্যালায়ান্সের অন্তর্গত ‘পপুলার রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-এর কমান্ডার আমির আকমল জানান, আত্মসমর্পণের প্রশ্নই নেই। তালিবান যেভাবেই পঞ্জশিরে প্রবেশের চেষ্টা করুক না কেন, তা প্রতিহত করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত তাঁদের বাহিনী। তাঁর দাবি, ‘পপুলার রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টে যাঁরা যোগ দিয়েছেন, তাঁরা বেশির ভাগই কমবয়সি ছেলে। তাঁরা কখনওই তালিবানের দাসত্ব মেনে নেবেন না। তালিবান যুদ্ধ করতেই আসুক, বা শান্তি প্রস্তাব নিয়ে, মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।'

গত কয়েক দিনে নর্দার্ন অ্যালায়ান্সের হাত আরও শক্ত করেছে আশরফ গনির সেনাবাহিনী। জানা গিয়েছে, তালিবান কাবুল দখল নেওয়ার পরেই পঞ্জশিরে চলে আসেন অসংখ্য সেনা। এক সেনা হামিদের কথায়, ‘আফগান সেনাবাহিনীতে যখন ছিলাম, দেশকে তালিবানের হাত থেকে বাঁচাতে পারিনি। তালিবান দেশের প্রায় পুরোটাই দখল করে ফেলেছে। কিন্তু এখন পঞ্জশিরে দেখছি, মাতৃভূমিকে রক্ষায় একটি সুযোগ এসেছে।’

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in