‘ইমপিচমেন্ট’ পদ্ধতির মাধ্যমে অপসারিত হলেন পেরুর সদ্য নির্বাচিত বামপন্থী রাষ্ট্রপতি পেড্রো ক্যাসিলো। কংগ্রেসে বিরোধীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় পদচ্যুত হন তিনি। পেরুর নতুন রাষ্ট্রপতি হলেন উপরাষ্ট্রপতি ডিনা বলুয়ার্তে।
ডিনা বলুয়ার্তের ক্ষমতা গ্রহণের সাথে সাথেই পেরু এই প্রথম কোনো মহিলা রাষ্ট্রপতি পেল। বুধবার পেড্রো ক্যাসিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরই তাঁকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
কংগ্রেস অবলুপ্তি করতে চেয়েছিলেন পেড্রোও। কিছুদিন আগে তিনি বলেন, 'কংগ্রেসের বদলে একটি জরুরী সরকার আনা হবে'। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই কথাই পেড্রোর কাছে বুমেরাং হয়ে দেখা দেয়। জরুরী বৈঠক ডেকে ‘ইমপিচমেন্ট’-র মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই মেক্সিকান এমব্যাসি যাওয়ার পথে তাঁকে রাষ্ট্রদোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
ক্ষমতা হারানো রাষ্ট্রপতির এক সময়ের সতীর্থ ৬০ বছর বয়সী ডিনা বলুয়ার্তো বলেন, আমি ২০২৬ সালের জুলাই মাস পর্যন্তই দায়িত্ব পালন করব। যেটা ক্যাসিলোর সময়সীমা ছিল। শপথ গ্রহণের সময় তিনি বলেন, আমি চাই দেশে রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ হোক। এর পরিবর্তে দেশকে উদ্ধার করা আমাদের কর্তব্য।
উল্লেখ্য, বামপন্থী 'ফ্রি পেরু' দলের নেতা পেড্রো ক্যাসিলো 'বিরোধী নিয়ন্ত্রিত' কংগ্রেস ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন। কারণ সংসদে সংখ্যালঘিষ্ঠ সরকার চালাতে পদে পদে বাধা পাচ্ছিলেন তিনি। তবে তাঁর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগও করেন।
২০২১ সালে পেরুর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্যাসিলো পেয়েছিলেন ৮৮,৩৬,৩৮০ ভোট (৫০.১২ শতাংশ)। তাঁর বিপক্ষের প্রার্থী দক্ষিণপন্থী দলের কেইকো ফুজিমোরি পেয়েছিলেন ৮৭,৯২,১১৭ ভোট (৪৯.৮৭ শতাংশ)।
প্রসঙ্গত, লাতিন আমেরিকায় এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে বলিভিয়ায় সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন সেদেশের রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস। পরে নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও জয়লাভ করে তাঁর নেতৃত্বাধীন দল - 'মুভমে ন্ট ফর সোশ্যালিজম'। তার পরেই তিনি দেশে ফিরে আসেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন