পরমাণু হামলার হুমকি রাশিয়ার। পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের স্বাধীন চায় রাশিয়া। সেই লক্ষ্যে দেশের ৩ লক্ষ সেনা জওয়ানকে যুদ্ধে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন। শুধু তাই নয়, রাশিয়াকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনারও ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
মঙ্গলবার, জাতির উদ্দেশে ভাষণে পুতিন বলেন, ‘দেশের রিজার্ভ বাহিনীতে নাম থাকা ও সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত কিন্তু শারীরিকভাবে সক্ষম ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের ফের ফৌজে নিয়োগের জন্য ডিক্রি জারি করা হয়েছে।’
একইসঙ্গে, ইউক্রেনের সহযোগী আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোকেও হুমকি দিয়েছেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়াকে দুর্বল করে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে পশ্চিমী দুনিয়া। তারা সীমা অতিক্রম করেছে।’
এরপরেই, টেলিভিশন বার্তায় পুতিন বলেন, ‘যদি আমাদের দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়, তাহলে সন্দেহাতীতভাবে দেশের মানুষকে বাঁচাতে সমস্ত ধরনের অস্ত্রই ব্যবহার করব আমরা। আর এটা ফাঁকা বুলি নয়।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, 'যারা পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছেন, তাদের জানা উচিত যে, পাল্টা বাতাস তাদের দিকে যেতে পারে।'
তিনি অভিযোগ করেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলি প্রমাণ করেছে যে- তারা চায় না রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি থাকুক।’
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষ চলাকালীন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার এই হুমকি বিশ্ব রাজনীতিতে নয়া উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
গতকালই, রুশপন্থীদের দখলে থাকা পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে গণভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মূলত, ক্রাইমিয়ার পর ডনবাস, খেরসন ও জাপরজাই শহরকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তির জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তবে, এই গণভোটের পরিকল্পনাকে 'অনৈতিক' বলে নিন্দা জানিয়েছে ইউক্রেনসহ পশ্চিমারা। ভোটের ফলাফল মানা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। এই গণভোটের পরিকল্পনাকে 'জালিয়াতি' বলে অভিহিত করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন