গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে ৮ ভারতীয় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল আদালত। এবার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত ৮ জন সেনাকর্মীর কমল শাস্তির মেয়াদ। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, কাতারের আদালত তাঁদের সাজা কমিয়ে কারাদণ্ড দিয়েছে। এই সাজা কমানোর বিষয়ে বিস্তারিত রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে বিদেশ মন্ত্রক। পুরো বিষয়টি জানার পর, তারা ফের কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবে বলে জানা গেছে।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে ৮ জন প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মীদের গ্রেফতার করেছিল। ওই ৮ জন প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মীর মৃত্যুদন্ডের সাজা দিয়েছিল কাতারের আদালত। উল্লেখ্য, নৌসেনা থেকে অবসরের পর, কাতারের দাহরা গ্লোবাল সংস্থায় কাজ করতেন এই দণ্ডপ্রাপ্ত আটজন।
এদিন বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “আমরা দাহরা গ্লোবাল মামলায় কাতারের আপিল আদালতের রায় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তাঁদের সাজা কমানো হয়েছে। আমরা বিস্তারিত রায় হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আমরা আমাদের আইনি দলের পাশাপাশি নৌসেনার অভিযুক্ত প্রাক্তন কর্তাদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি।“
বিদেশ মন্ত্রক আরও জানায়, “তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ আপিল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন কাতারে ভারতের রাষ্ট্রদূত এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্তারাও। আমরা শুরু থেকেই এই বিষয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং আমরা তাঁদের সমস্ত কনস্যুলার ও আইনি সহায়তা দিয়ে যাব। কাতারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আমরা কথাবার্তা চালিয়ে যাব।”
প্রাক্তন ওই ৮ জন কর্মকর্তারা কাতারের বেসরকারি কোম্পানি আল দাহরায় কাজ করতেন, যা কাতারি নৌবাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এই আটজন হলেন ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পুরনেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত এবং নাবিক রাগেশ।
জানা গেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে কাতারি সেনাবাহিনীর উপর চরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে। দাহরা গ্লোবাল সংস্থার আরও কয়েকজন কর্তাও এই মামলায় অভিযুক্ত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন