মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) পর এবার জার্মানি। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi ) সাংসদ পদ (MP Post) খারিজ নিয়ে ‘খোঁজখবর রাখছি’ বলে আগেই জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। এবার একই কথা জানিয়েছে জার্মানি (Germany)।
বৃহস্পতিবার, জার্মানির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, 'আমরা রায় দেখেছি। বিরোধী রাজনীতিক রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টিতে আমরা নজরে রেখেছি। আমরা যতটা জানি, রাহুল গান্ধী ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করার সুযোগ পাবেন। তারপরই স্পষ্ট হবে, এই রায় ও তাঁর সাংসদপদ খারিজের কোনও ভিত্তি আছে কিনা।’
সঙ্গে তিনি জানান, ‘আমরা প্রত্যাশা করছি, বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা ও মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রেও বজায় থাকবে।’
আর, ওয়াশিংটনের পর বার্লিনের এই অবস্থান নিয়ে বেজায় চাপে পড়েছে নয়াদিল্লি। কারণ, কূটনৈতিকভাবে দুটি রাষ্ট্রই বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ভারতে বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধীকে নিয়ে যে রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ চলছে, সেদিকে নজর রাখছে তারা।
এদিকে, জার্মানির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের এই বার্তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিং (Digvijaya Singh)।
এক টুইট বার্তায় জার্মানির বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর ওপর অত্যাচারের মাধ্যমে কীভাবে ভারতে গণতন্ত্রের সাথে আপস করা হচ্ছে, তা নোট করার জন্য জার্মানি বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রক এবং রিচার্ড ওয়াকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
জার্মানি এবং কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং-এর মন্তব্যের জবাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। তিনি বলেন, ভারত অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না।
এক টুইট বার্তায় তিনি জানান,'মনে রাখবেন, বিদেশী হস্তক্ষেপে ভারতীয় বিচার বিভাগ প্রভাবিত হতে পারে না। ভারত আর 'বিদেশী হস্তক্ষেপ' সহ্য করবে না, কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদী।'
এর আগে, রাহুলের সাজা এবং সাংসদপদ খারিজের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বলেন, 'আইনের শাসন ও বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা যে কোনো গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। তাই, আদালতে রাহুল গান্ধীর মামলার বিষয়টিতে আমরা নজরে রাখছি।'
মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক ব্যাখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্ককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু সে দেশের সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে না, বিরোধী শিবিরের বিষয়ে তারা সমান আগ্রহী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন