Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কার নতুন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে, ফের বিক্ষোভের আশঙ্কা

রনিলের এই জয়ে খুশি নন আন্দোলনকারীরা। হুমকির সুরে তাঁরা আগেই জানিয়েছিলেন, রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe) যদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, তাহলে আবার আন্দোলনে নামা হবে।
আলাহাপ্পেরুমা, রনিল বিক্রমাসিংহে এবং অনুরুয়া কুমারা
আলাহাপ্পেরুমা, রনিল বিক্রমাসিংহে এবং অনুরুয়া কুমারাগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

অশান্ত শ্রীলঙ্কায় নয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe)।

টানা এক সপ্তাহ গণ বিক্ষোভের জেরে গত ১৩ জুলাই দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষে। সিঙ্গাপুরে পৌঁছে তিনি নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠান সংসদের স্পিকারকে। এরপর, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হন রনিল বিক্রমসিংহে। বুধবার, তিনিই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন।

৭৩ বছরের রনিল শ্রীলঙ্কার ইউনাউটেড ন্যাশনাল পার্টির সদস্য। ২০২০ সালে শ্রীলঙ্কার সাধারণ নির্বাচনে জিতে মাহিন্দা রাজাপক্ষে ক্ষমতা দখল করার আগে তিনিই ২০১৮-১৯ সালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শ্রীলঙ্কার মোট ছ’বারের প্রধানমন্ত্রী তিনি।

রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার মাঝে নয়া রাষ্ট্রপতি পেতে আন্দোলনে নামেন শ্রীলঙ্কার জনগণ। সেই দাবী মেনে আজ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছে।

এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী লড়াইয়ে ৩ জন প্রার্থী ছিলেন।

১) রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe)।

২) দুল্লাস আলাহাপ্পেরুমা (Dullas Alahapperuma)। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং গোটাবায়া রাজাপক্ষের কঠোর সমালোচক।

৩) বামপন্থী নেতা অনুরুয়া কুমারা দিসানায়েকে (Anurua Kumara Dissanayake)

তবে, মূল লড়াই ছিল রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে দুল্লাস আলাহাপেরুমার।

বুধবার, সকাল ১০ টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শ্রীলঙ্কার ২২৫ জন সাংসদের মধ্যে রনিল বিক্রমাসিংহে ভোট পেয়েছেন ১৩৪টি। ৮২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আলাহাপ্পেরুমা। ৩টি ভোট পেয়েছেন অনুরুয়া কুমারা।

শ্রীলঙ্কার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হল শ্রীলঙ্কা পোদুজানা পেরামুনা (Sri Lanka Podujana Peramuna)। ২২৫ টি আসনের মধ্যে তাঁদের দখলে ১৪৫ টি আসন। ফলে- এই দলের বেশিরভাগ সাংসদের সমর্থন যার দিকে যাবে- তিনিই হবেন শ্রীলঙ্কার নতুন রাষ্ট্রপতি। আর এই লড়াইয়ে বাজিমাত করেছেন রনিল বিক্রমাসিংহে।

তবে, রনিলের এই জয়ে খুশি নন আন্দোলনকারীরা। হুমকির সুরে তাঁরা আগেই জানিয়েছিলেন, রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe) যদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, তাহলে আবার আন্দোলনে নামা হবে। এমনকি, নাগরিক অধিকার মঞ্চ থেকে ট্রেড ইউনিয়নগুলি বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে 'যুদ্ধ' ঘোষণা করেছে। তাঁদের অভিযোগ, প্রথম থেকেই রাজাপক্ষে পরিবারকে রক্ষার চেষ্টা করে গিয়েছে বিক্রমাসিংহে।

বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে সকল সাংসদ ভোট দেওয়া উচিত। না হলে- 'গোটা গো হোম' ('Gota Go Home') থেকে 'রনিল গো হোম' ('Ranil Go Home')-এ শ্লোগান উঠবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন, দুল্লাস আলাহাপ্পেরুমা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সজিথ প্রেমাদাসা (Sajith Premadasa)। কেননা, দুল্লাস প্রার্থী হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে সরে এসেছেন শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধীদলের (Samagi Janabalawegaya) নেতা সজিথ প্রেমাদাসা। তাঁর দলের সমর্থন দুল্লাস আলাহাপেরুমার দিকে রয়েছে।

তবে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে দুই শিবিরে ভাগ হয়ে গেছে তামিল দলগুলি। আলাহাপ্পেরুমাকে সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (TNA)। অন্যদিকে, বিক্রমাসিংহেকে সমর্থন করেছে সিলন ওয়ার্কার্স কংগ্রেস (CWC)।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in