আশঙ্কাই সত্যি হল। ফের ইউক্রেনের একাধিক শহরে আক্রমণ চালাল রুশ সেনাবাহিনী। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণের পাল্টা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরাম নেই। চলতি বছরের শুরু থেকেই চলছে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ। একাধিক রাষ্ট্রও পরোক্ষভাবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে তা স্পষ্ট। ইউক্রেনকে ক্রমাগত সামরিক সাহায্য দিচ্ছে পশ্চিমী দুনিয়ার দেশগুলি। পশ্চিমী দুনিয়ার অন্তর্ভুক্তিই আরও বিপাকে ফেলেছে ইউক্রেনকে। সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যার ফল ফের পেল ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশ।
রাশিয়ার পক্ষে থেকে মিসাইল হামলা চালানো হল ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের লেভিভ, টার্নোপিল ও ডেনিপ্রো শহরে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বহু মানুষ মারা গেছেন ও আহত হয়েছেন। রাশিয়া চাইছে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইউক্রেনকে চিরতরে মুছে ফেলতে।
সকাল ৮ টা ১৫ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী সহ একাধিক শহর। ইউক্রেন দাবি করেছে ৫টি মিসাইল আক্রমণ করেছে রাশিয়া। তবে অসমর্থিত সূত্রানুযায়ী ৭৫টি মিসাইল আক্রমণের খবর শোনা যাচ্ছে। জুন মাসের পর ফের কিয়েভ আক্রমণ করেছে রাশিয়া।
সূত্রের খবর, রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার সংযোগকারী সেতুতে দু’দিন আগে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। যার জেরে সেতুর একাংশ ভেঙে যায়। হঠাৎই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে পণ্যবাহী ট্রেন। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় রুশ সেনার রসদ কার্যত আটকে গেছে। রাশিয়া ব্রিজ বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসবাদী ক্রিয়াকলাপ বলে চিহ্নিত করেছে। অনেকে মনে করছেন প্রত্যাঘাতের উদ্দেশ্য নিয়েই কিয়েভে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দেন আকাশপথে হামলা চালানোর। আকাশপথে ইউক্রেন জয়ের দায়িত্বে আছেন বিমানবাহিনীর প্রধান সের্গেই সুরোভিখিন। ইতিমধ্যে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সুখোই ৩৫-র ব্যবহারও শুরু করেছে রাশিয়া।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন