আমেরিকান ডলারের অনুপাতে ভারতীয় টাকার দাম সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে গেল। বুধবার দৈনিক কেনাবেচায় একসময় ভারতীয় টাকার দাম নেমে যায় ৮৩.৩৫-এ। পরে চূড়ান্ত পর্যায়ে সেই দাম কিছুটা বেড়ে ৮৩.৩৩- পৌঁছায়। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মতে বিদেশী বিনিয়োগকারী সংস্থার শেয়ার বাজার থেকে টাকা তুলে নেওয়া, অপরিশোধিত জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ইজরায়েল প্যালেস্তাইন সংঘর্ষের কারণে ভারতীয় টাকার দামে এই পতন।
বুধবার বাজার খোলার সময় আমেরিকান ডলারের অনুপাতে ভারতীয় টাকার দাম ছিল ৮৩.২৬। এরপরেই টাকার দামে পতন শুরু হয় এবং তা পৌঁছায় ৮৩.৩৫-এ। পরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৮৩.৩৩। যদিও এখনও পর্যন্ত এটাই আমেরিকান ডলারের অনুপাতে ভারতীয় টাকার সর্বনিম্ন দাম।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, যদিও RBI তার রিজার্ভ থেকে মার্কিন ডলার ছেড়ে দিয়ে টাকার অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সফল হয়েছে, কিন্তু এই কৌশল বেশিদিন বজায় রাখা সম্ভব নয়। কারণ বিগত সপ্তাহগুলিতে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিলে ক্রমাগত পতন ঘটেছে।
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় টাকার দর ৮৩.২৯-এর নিচে নেমে যাওয়া আটকাতে অক্টোবরে ফোরেক্স মার্কেটে RBI ক্রমাগত হস্তক্ষেপ করছে।
শুক্রবার প্রকাশিত আরবিআইয়ের তথ্য অনুসারে, ২০ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২.৩৬ বিলিয়ন ডলার কমে ৫৮৩.৫৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
গত সপ্তাহে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছিল ১.১৫ বিলিয়ন ডলার। যা তার আগের পাঁচ সপ্তাহের ক্রমাগত পতনকে কিছুটা সামাল দেয়।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৪.১৬৬ বিলিয়ন ডলার কমে ৬ অক্টোবর শেষ হওয়া সপ্তাহে পাঁচ মাসের সর্বনিম্ন ৫৮৪.৭৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। বাজারে নতুন করে পতনের সঙ্গে সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে।
- With Agency Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন