ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে বাকি বিশ্ব যাই করুক না কেন, চীন যে রাশিয়ার পাশে আছে, তা আরও একবার পরিষ্কার করল বেজিং। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ ১২ দিন ধরে চলছে। এরমধ্যে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ইউক্রেনের দু'রকম প্রস্তাবে রাশিয়ার পক্ষে ও বিপক্ষে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, চীন।
এই পরিস্থিতিতে চীনের অবস্থান কী, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল গোটা বিশ্বের কাছে। যদিও চিনের ভূমিকা সমালোচিত হয়েছে বিশ্বের কাছে। এবার চীন জানিয়ে দিল যে তারা রাশিয়ার প্রতি বন্ধুত্বের হাতটি বাড়িয়ে রেখেছে। দুই দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়।
বার্ষিক সাংবাদিক বৈঠকে চীনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, 'আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক এখনও পাথরের মতো মজবুত। ভবিষ্যতেও আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা বজায় থাকবে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে।'
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালালেও চীন দুই দেশের মধ্যে শান্তি চায়। চীনের বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'আমরা শান্তির জন্য দুই দেশের মধ্যস্থতা করতে রাজি। কোনও আন্তর্জাতিক সংগঠন আমাদের সাহায্য চাইলে সবরকম ভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত।' প্রসঙ্গত, চীন ও রাশিয়ার কৌশলগত বোঝাপড়া নিয়ে চীনকেও তিরস্কারের মুখে পড়তে হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতির মুখ্য সচিব জোসেফ বরেল বলেন, 'একমাত্র চিনই পারে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যস্থতা করতে। চীনের মধ্যস্থতাতেই দুই দেশের শান্তি প্রক্রিয়াও হওয়া উচিত। পশ্চিমী শক্তিগুলি এই কাজ করতে পারবে না।' চীন বারবার মধ্যস্থতার কথা বলেছে বটে। কিন্তু তারা কোনও শান্তি বৈঠকের আয়োজন করেনি। তবে ইউক্রেনে নাগরিকদের সাহায্য পাঠাবে বলে জানিয়েছে চীন।
ওয়াং ই বলেন, 'আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কোনও তৃতীয় দেশ হস্তক্ষেপ না করাই শ্রেয়।' এই বক্তব্যকে আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলির প্রতি সতর্কবার্তা হিসাবেই ধরছেন। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, দু’দেশের বন্ধুত্ব ‘শর্তহীন’।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন