বাল্টিক সাগর তীরবর্তী দেশ লাটভিয়াতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া। বাল্টিক দেশটি রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ সংক্রান্ত শর্ত লঙ্ঘন করেছে। যার জেরে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার সরকারি গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা গ্যাজপ্রোম।
শনিবার একটি বিবৃতি লাটভিয়া রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধের খবর জানিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তা জানা যায়নি। শুধু বলা হয়েছে শর্ত লঙ্ঘন করা হয়েছে। লাটভিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি জানিয়েছেন, রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তে দেশে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে। সামনেই শীতকাল, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ার আতঙ্কে ভুগছে ইউরোপ। উল্লেখ্য, জার্মানিতে ইতিমধ্যে গ্যাস সরবরাহ প্রায় অর্ধেক করে দিয়েছে রাশিয়া।
তবে লাটভিয়া আগে থেকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল ২০২৩ সাল থেকে রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি বন্ধ করা হবে। লাটভিয়ার পক্ষ থেকে এও বলা হয় - রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি করার জন্য ইউরো-র বদলে রুবেল পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু লাটভিয়া রুবেল দিয়ে গ্যাস আমদানি করতে আর আগ্রহী নয়।
এর আগে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া রুবেল প্রদানে অনীহা প্রকাশ করায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছিল রাশিয়া। উল্লেখ্য, যুদ্ধের গোড়াতেই রাশিয়া হুমকি দিয়েছিল, ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ালে তাদের দাম চোকাতে হবে। পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায়। অন্যান্য শক্তিধর দেশের মতো এই দুটি ছোট দেশও সাধ্যমত সামরিক সাহায্য করেছে ইউক্রেনকে।
রাশিয়া পাল্টা সিদ্ধান্ত নেয় - আর ইউরো নয়। গ্যাস পেতে হলে রুবেল দিতে হবে। তবে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কিছুক্ষণের জন্য পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হলেও পরে তা চালু করা হয়। গ্যাজপ্রোম বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল - পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া জ্বালানির মূল্য রুবেলে দিতে পারেনি। তাই এই সিদ্ধান্ত। ‘ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি’–র কর্তা ফাতি বিরোল টুইটারে লিখেছিলেন, ‘জ্বালানিকে যুদ্ধের অস্ত্র করছে রাশিয়া।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন