গ্যাস সরবরাহে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার ফলে বিপাকে পড়েছে ইউরোপের দেশগুলি। সোমবার থেকেই ইউরোপে পূর্বের তুলনায় ৩৬% বৃদ্ধি পেয়ছে গ্যাসের দাম। যার জেরে বেশ সমস্যায় পড়েছেন ঐ সমস্ত দেশের বাসিন্দারা।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাই ঠিক হল। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরেই যে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মস্কোর এই সিদ্ধান্তে শীতকালে ইউরোপবাসী কীভাবে গ্যাসের যোগান পাবেন তার নিশ্চয়তা নেই। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে প্রতি মেগাওয়াট/ঘন্টায় ২৮.৫% দাম বেড়ে হয়েছে ২৮৩ ইউরো। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী মে মাসের পর এই প্রথম এত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ-র দামও বেড়েছে। ২৩% বৃদ্ধি পেয়ে নতুন দাম হয়েছে ৬২৫ ইউরো। চলতি বছরের শুরুতে যা ছিল ২০০ ইউরো। এই দামই ২০২১-র শুরুতে ছিল মাত্র ৫০ ইউরো।
জুলাই মাসে রাশিয়ার গ্যাস প্রদানকারী সংস্থা গ্যাজপ্রোম জার্মানির গ্যাস সরবরাহকারী পাইপে ২০% গ্যাস কম প্রদান করতে শুরু করে। সেই নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন মেইনটেন্যান্সের জন্য বুধবার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে গ্যাজপ্রোম। কিন্তু শুক্রবার বলা হয় নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইন দিয়ে আর গ্যাস সরবরাহ করা হবে না। পাইপলাইনের টারবাইন বিকল হয়ে পড়েছে। কিন্তু পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞার কারনে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে জি-৭ এর অন্তর্ভুক্ত অর্থমন্ত্রীরা রাশিয়ান তেলের দামে রাশ টানার সিদ্ধান্তের ফলেই গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করেছে মস্কো। ব্লুমবার্গের তথ্যানুযায়ী চলতি বছরে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রায় ৩০০% শতাংশ বেড়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির মোট শক্তির ২৪% প্রাকৃতিক গ্যাস থেকেই উৎপন্ন হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন