ইউক্রেন সরকারকে ‘গদিচ্যুত’ করার ইচ্ছে নেই, দুই রুশপন্থী অঞ্চলের স্বাধীনতা চাই, বার্তা মস্কোর

২০১৪ সাল থেকে কিয়েভের সঙ্গে ‘অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব’ চলছে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী ডোনেৎস্ক ও লুগানস্কের। ইউক্রেনের ওপর হামলা চালানোর ঠিক আগে এই দুই অঞ্চলকে ‘স্বাধীন প্রজাতন্ত্র’ ঘোষণা করেন পুতিন।
ইউক্রেন সরকারকে ‘গদিচ্যুত’ করার ইচ্ছে নেই, দুই রুশপন্থী অঞ্চলের স্বাধীনতা চাই, বার্তা মস্কোর
ফাইল চিত্র
Published on

আর ন্যাটোয় যোগ দিতে চায় না ইউক্রেন। দেশের দুই রুশপন্থী অঞ্চলকেও ‘স্বাধীন’ বলে মানতে প্রস্তুত। এমনটাই জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। এরপর সুর কিছুটা নরম করল ক্রেমলিন। প্রথমবার জানাল, মস্কোর ইউক্রেন সরকারকে ‘গদিচ্যুত’ করার কোনও ইচ্ছে নেই।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দু'সপ্তাহ হতে চলল। ইতিমধ্যে দুই দেশ তিন দফায় শান্তি-বৈঠক করেছে। রাশিয়া স্বীকার করেছে, বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ন্যাটোয় যোগ দেওয়া নিয়ে আমি এখন ভাবছি না। বুঝেছি ইউক্রেনকে দলে নিতে ন্যাটো তৈরি নয়।’

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ক্ষোভের অন্যতম কারণই হল ন্যাটোয় যোগ দিতে চাওয়া। কিন্তু রাশিয়া চায়নি একসময় সোভিয়েতের অন্তর্ভুক্ত থাকা কোনও দেশ ন্যাটোয় যোগ দিক। পাশাপাশি ইউক্রেন যদি ন্যাটো-ভুক্ত হয়, তাহলে বহরে বাড়বে ন্যাটো। কিন্তু সেটা ভালোভাবে নিতে পারছে না মস্কো। তাছাড়া ইউক্রেনের ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার অর্থ রাশিয়ার দোরে সেনাবহরের উপস্থিতি। তাই শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছে রাশিয়া।

অন্যদিকে, ২০১৪ সাল থেকে কিয়েভের সঙ্গে ‘অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব’ চলছে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী ডোনেৎস্ক ও লুগানস্কের। ইউক্রেনের ওপর হামলা চালানোর ঠিক আগে এই দুই অঞ্চলকে ‘স্বাধীন প্রজাতন্ত্র’ ঘোষণা করেন পুতিন। এই প্রসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, কথা বললেও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকছে তো! একমাত্র রাশিয়া এই দুই অঞ্চলকে প্রজাতান্ত্রিক দেশের মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু আমি এ নিয়ে কথা বলতে রাজি। এই দুই অঞ্চলে মানুষ আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলের কিছু মানুষ ইউক্রেনের সঙ্গে থাকতে চান, তাঁরা কী বলবেন। পুতিন এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে তিনি আশাবাদী।

এদিকে, সরাসরি ইউক্রেনের পাশে না দাঁড়ালেও রাশিয়ার উপরে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেই চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। রাশিয়ার ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রান্সফার নিয়ন্ত্রণ করে, সমুদ্র ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি জারি হয়েছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজ়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, ‘শান্তি আলোচনার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব মেটানোর বিষয়ে জোর দিতে হবে আমাদের।’ তবে রাশিয়ার পদক্ষেপের নিন্দা করেননি তিনি। তিনি এই যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটোকে দুষেছেন।

ইউক্রেন সরকারকে ‘গদিচ্যুত’ করার ইচ্ছে নেই, দুই রুশপন্থী অঞ্চলের স্বাধীনতা চাই, বার্তা মস্কোর
Ukraine Crisis: ন্যাটোর সদস্যপদ চায় না ইউক্রেন, জানালেন জেলেনস্কি - তাহলে কি থামছে যুদ্ধ?

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in