ইউক্রেনে চলমান সংঘর্ষের মাঝে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ রাশিয়ার। ইউক্রেনের চারটি প্রদেশ রাশিয়াতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য সম্মতি জানিয়েছে গণভোটের মাধ্যমে। যা বিশ্ব রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলেই বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতা কমলেও তা এখনও থামেনি। এরই মধ্যে বলা যেতে পারে বেশ খানিকটা অক্সিজেন পেল রাশিয়া। ইউক্রেনের ডনেৎস্ক, লুহানেস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়ায় গণভোট হয়। তাতে দেখা যায় দক্ষিণের দু’টি ও পূর্বের দু’টি প্রদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। এই চার প্রদেশ ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের প্রায় ১৫ শতাংশ।
ওই চারটি প্রদেশের মধ্যে ডনেৎস্কে রাশিয়ার পক্ষে ভোট পড়েছে ৯৯.২৩ শতাংশ। লুহানস্কে ৯৮.৪২% জনগণ রাশিয়াকে ভোট দিয়েছে। জাপোরিঝিয়ার গণভোটের ৯৩.১১ শতাংশ ভোট রাশিয়ার পক্ষেই গেছে। খারসনে শতাংশের হার (৮৭.০৫) কমলেও তা সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। আর এই জয়ের পরেই লুহানেস্কের রাস্তায় রাশিয়ান সেনার একাধিক পোস্টার দেখা যায়। তাতে লেখা আছে ‘আমরা আমাদের সেনা ও জয়ের প্রতি আত্মবিশ্বাসী’। ওই চারটি অঞ্চলের একাধিক জায়গা রাশিয়ান পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।
গণভোটের পর এই চারটি প্রদেশ সরকারিভাবে রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসাবে চিহ্নিত হল। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এই অঞ্চলগুলি পুনর্দখলের চেষ্টা করলে, তা রাশিয়ার নিজ ভূখণ্ডের ওপর হামলা বলেই বিবেচনা করবে।
যদিও এই গণভোটকে প্রহসন হিসেবেই দেখছে ইউক্রেন ও তার মিত্র দেশগুলি। তাদের দাবি এইভাবে ভোটগ্রহণ উচিত নয়। বলপূর্বক গণভোট করা হয়েছে। এর আগে মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, পশ্চিমারা কখনোই রাশিয়াকে ওই অঞ্চলগুলি দখল করতে দেবে না। রাশিয়ার এই আগ্রাসন প্রতিহত করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন