অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করবে না সৌদি আরব। যা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে ফের একবার কূটনৈতিক জয় পেল রাশিয়া।
বিশ্বের একাধিক দেশ তেলের চাহিদা মেটানোর জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই বিশ্ব বাজারে তেল আমদানি নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেন জো বাইডেন। তেলের চাহিদা মেটানোর জন্য সৌদি আরবকে পরিমাণের তুলনায় বেশি তেল উৎপাদনেরও প্রস্তাব দেন। তা মানতে রাজি নয় সৌদি।
ওপেক+ (OPEC+) সদস্য দেশগুলি আমেরিকার সিদ্ধান্তের পর্যালোচনাও করে। ওই বৈঠকে একাধিক দেশ রাশিয়ার পক্ষে থাকায় আমেরিকার নির্দেশে কোনও কর্নপাত করা হয়নি। বদলে তারা তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী নভেম্বর থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
যদিও সৌদি আরব জানিয়েছে, ওপেকের দেশগুলি স্বাধীনভাবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর সাথে কোনো রাজনৈতিক বা বহিরাগত চাপ নেই। আমাদের আর্থিক দিকটাও ভাবতে হচ্ছে।
অন্যদিকে ওপেক+ এর এই সিদ্ধান্তের পরে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের কথা ভাবছে আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট বিডেন জানিয়েছেন, মার্কিন কংগ্রেস সৌদি আরবের সাথে আদৌ সম্পর্ক রাখবে কি না, তা এবার ভেবে দেখতে হবে।
প্রসঙ্গত, ইউরোপে শীতকাল আসন্ন ফলে জ্বালানি নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছে পশ্চিমীরা। সেই আতঙ্ক আরও উস্কে দিল ওপেকের সদস্যদের সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, পশ্চিমীদের আগেই ধক্কা দিয়েছিল রাশিয়া। পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া রুবেল প্রদানে অনীহা প্রকাশ করায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছিল রাশিয়া। যুদ্ধের গোড়াতেই রাশিয়া হুমকি দিয়েছিল, ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ালে তাদের দাম চোকাতে হবে। পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায়। অন্যান্য শক্তিধর দেশের মতো এই দুটি ছোট দেশও সাধ্যমত সামরিক সাহায্য করেছে ইউক্রেনকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন