এখনও খোঁজ মেলেনি আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সাবমেরিনটির। ওই সাবমেরিনে চালক সহ মোট ৫ জন রয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি ৭০ ঘন্টারও কম অক্সিজেন সঞ্চিত আছে সাবমেরিনে। ফলে উদ্বেগ আরও বাড়ছে।
৩০ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে খোঁজ চলছে ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন 'টাইটান'-র। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে পর্যটন সংস্থা 'ওশানগেট' (OceanGate)। এছাড়া আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি জাহাজ ও সি-১৩০ হারকিউলিস বিমান তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। উদ্ধার কাজে সাহায্য করতে কানাডাও জাহাজ ও বিমান পাঠিয়েছে।
আমেরিকার এই সি-১৩০ বিমানটিতে চারটি ইঞ্জিন রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ উদ্ধারকাজে সক্ষম বিমানটি। জলের ওপর ভাসমান কোনো বস্তু থাকলে বা সাবমেরিন থাকলে তা চিহ্নিত করতে পারে। কানাডার পি-৮ Poseidon বিমানও দূর থেকে সাবমেরিন চিহ্নিত করতে সক্ষম। আমেরিকার উপকূল থেকে ৭০০ মিটার দক্ষিণে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও ঘন কুয়াশা থাকায় উদ্ধার কাজের গতি বাধা পাচ্ছে।
সাবমেরিনটি নিউফাউনল্যান্ড দ্বীপ থেকে আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য পাড়ি দেয়। ওই সাবমেরিনে ছিলেন চালক ছাড়া ছিলেন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং। যিনি এই নতুন নতুন জিনিস দেখতে বা আবিষ্কার করতে ভালোবাসেন। ছিলেন পল-হেনরি নারিজিওলেট। ইনি ই/এম গ্রুপের আন্ডার ওয়াটার রিসার্চের ডিরেক্টর। এছাড়া ছিলেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তাঁর পুত্র সুলেমান দাউদ। সকলেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্যই পাড়ি দিয়েছিলেন। অনেকেই এই ঘটনায় পর্যটন সংস্থা 'ওশানগেট'কেই দায়ী করছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন