মার্কিন প্রশাসন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল ৩১ আগস্ট। কিন্তু পরে জানিয়েছিল যে, প্রয়োজনে ৩১ আগস্টের পরও আফগানিস্তানে থাকবে আমেরিকার সেনা। কিন্তু তালিবানরা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ওইদিনের মধ্যেই আমেরিকাকে আফগানিস্তান ছাড়তে হবে। সেই মোতাবেক হাতে সময়ও বেশি নেই। এই কয়েকদিনের মধ্যে সব কিছু গুছিয়ে দেশে ফেরা একেবারে অসম্ভব বলে মনে করছে পেন্টাগন।
এই পরিস্থিতিতে তালিবানের শীর্ষ নেতার সঙ্গে সিআইএ প্রধানের বৈঠক হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও এই বৈঠকের কথা স্বীকার করতে চায়নি মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা। এদিকে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা হয়েছে। রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান আফগান সরকারের সঙ্গে মধ্যস্থতা করতে রাজি বলে জানিয়েছে।
সোমবার কাবুল পৌঁছেছেন সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস। মঙ্গলবার বৈঠক করেন সিআইএ প্রধান এবং তালিবান নেতা আবদুল গনি বরাদর। এমনটাই দাবি করেছে আমেরিকার একটি সংবাদপত্র। যদিও সিআইএ-র মন্তব্য, ‘সংস্থা প্রধান কোথায় কখন যান, সেটা ক্লাসিফায়েড।‘ তবে আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা নিয়ে হোয়াইট হাউজ এবং তালিবানের টানাপোড়েনের মধ্যে বার্নস-বরাদরের বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ।
জরুরি ভিত্তিতে ডাকা জি-৭ বৈঠকে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায় চাপানো হয়েছে ওয়াশিংটনের উপর। মনে করা হচ্ছে, মার্কিন সেনাদের তত্ত্বাবধানে আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের সরানোর বিষয়ে বার্নস কথা বলছেন বরাদরের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিলে বার্নস একবার আফগানিস্তানে যান অঘোষিত সফরে। তখন থেকেই মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি শুরু হয়। অন্যদিকে, একসময় পাকিস্তানের জেলে বন্দি বরাদরকে আমেরিকার অনুরোধে ছেড়ে দেয় পাক প্রশাসন। বরাদার কাতারে থেকে মার্কিনিদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় প্রধান দূত হিসেবে কাজ করে। পরে মার্কিন তালিবান চুক্তি হয় তারই সৌজন্যে। সেই চুক্তির শর্তে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন