শ্রীলঙ্কার পর অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হতে পারে আর্জেন্টিনা, ইজিপ্ট, ঘানা, কেনিয়া, ইথিওপিয়া সহ একাধিক দেশ। ইতিমধ্যে আর্থিক মন্দার শিকার হয়েছে রাশিয়া, লেবানন, জাম্বিয়া, সুরিনাম।
অতিমারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সংকটের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি কার্যত শেষ। সেই তালিকায় রাশিয়াও আছে। ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি তার অন্যতম কারণ। যার ফলে ধসে পড়েত পারে ঘানা, নাইজিরিয়া, আর্জেন্টিনা, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, টিউনিশিয়া, পাকিস্তান, ইকুয়েডর, এল সালভাদোরের অর্থনীতি।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, এইসব দেশের মোট ঋণ ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে আর্জেন্টিনার ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ইকুয়েডরের ও ইজিপ্টের ৪০-৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ।
ইজিপ্ট
চলতি বছরে ইজিপ্ট সর্বোচ্চ আর্থিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইজিপ্টের ঋণ ও জিডিপির অনুপাত প্রায় ৯৫ শতাংশ। যার পরিমান প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে আগামী পাঁচ বছরে ইজিপ্টকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি ঋণ শোধ করতে হবে।
ইউক্রেন
রাশিয়ার আগ্রাসনে কার্যত ভেঙে পড়েছে ইউক্রেনের অর্থনীতি। ইউক্রেনকে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শোধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন জেপি মর্গ্যান। ইউক্রেনে সংকট আসে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।
ঘানা
ইজিপ্টের মতোই ঘানাও ঋণ সমস্যায় জর্জরিত। ঘানার জিডিপি ও ঋণের অনুপাত ৮৫ শতাংশ। এমনকি চলতি বছরে দেশটির মুদ্রা CEDI-র দামে এক চতুর্থাংশ পতন হয়। ঘানার মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৩০ শতাংশের আশেপাশে রয়েছে।
আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার মুদ্রার নাম পেসো। সেই পেসো এখন কালো বাজারে ৫০ শতাংশ ছাড়ে ব্যবসা করছে। যা দেশটির অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বর্তমানে আর্জেন্টিনার সঞ্চয় খুবই কম। মাত্র ২০ সেন্ট বন্ডে ব্যবসা বাণিজ্য করতে হচ্ছে।
পাকিস্তান
পাকিস্তান এই সপ্তাহে আইএমএফের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছে। আইএমএফ-র কাছে বড় অঙ্কের ঋণ চেয়েছে শাহবাজ শরিফের দেশ। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯.৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা মাত্র পাঁচ সপ্তাহের আমদানি করা যাবে। পাকিস্তানের টাকার মূল্যও রেকর্ড পরিমাণে দুর্বল হয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানের রাজস্বের প্রায় ৪০ শতাংশ সুদ মেটাতেই ব্যয় হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন