নৃশংস হত্যার সাক্ষী থাকল থাইল্যান্ড। বন্দুকবাজের এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রায় ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যার মধ্যে ২২ জন শিশু।
থাইল্যান্ডের নং বুয়া লাম্পুতে ওই বন্দুকবাজের হানায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ জন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তর থাইল্যান্ডের একটি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গুলি চলার ঘটনাটি ঘটে। ঘুমন্ত শিশুদের ওপর নির্মমভাবে গুলি চালান ওই বন্দুকবাজ। গুলিতে নিজের সন্তান ও স্ত্রীকেও হত্যা করেন তিনি। পরে নিজেকেও আত্মঘাতী হন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওই ব্যক্তি প্রাক্তন পুলিশ কর্মী। মানসিক অবসাদের জন্যই সম্ভবত নির্মম হত্যালীলা চালিয়েছেন। গুলি করা ছাড়াও ছুরিকাঘাতও করেন তিনি। সমস্ত সরকারী সংস্থাকে পুরো ঘটনার দ্রুত তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই গ্রামের প্রধান এক জনপ্রিয় পত্রিকায় জানিয়েছেন, সমস্ত শিশুরই নার্সারিতে পড়ার বয়স। তিনি নিহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করতে পারেননি।
এমন ঘটনা ২০২০ সালেও একবার ঘটেছিল। সেই বছর সম্পত্তিগত সমস্যার কারণে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ২৯ জনকে হত্যা করেছিলেন। এছাড়াও ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলির তুলনায় থাইল্যান্ডে সরকারিভাবে বন্দুকের মালিকানারা হার বেশি। তবে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি হয়। যা নিয়ে থাইল্যান্ড প্রশাসন বেশ চিন্তায় আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ না নিলে আগামীদিনে আরও ক্ষতির মুখে পড়তে পারে দেশটি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন