সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীসভা পদত্যাগ করেছে। এবার রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাক্ষে বিরোধী সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলকে মন্ত্রীপদ গ্রহণ করার এবং চলমান অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে সহায়তা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। একটি বিবৃতি জারি করে রাষ্ট্রপতি রাজাপাক্ষে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে সমস্যা সমাধানের জন্য একত্রিত হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “বর্তমান সঙ্কটের বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাপট আছে, অর্থনৈতিক কারনের পাশাপাশি আছে বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি। এশিয়ার অন্যতম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে এর সমাধান খুঁজে বের করা উচিত। জাতীয় স্বার্থের কথা ভেবে সময় এসেছে সকল নাগরিক এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে একত্রে কাজ করার।”
রবিবার রাজাপাক্ষের আরোপিত কারফিউ এবং জরুরি আইনকে উপেক্ষা করেই সারা শ্রীলঙ্কা জুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সরকার ‘সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার’ গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে। সাথে সাথে মন্ত্রীসভাও ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা এখন চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে। জ্বালানির সংকট, এলপিজির সংকট, দিনে ১৩-ঘন্টা বিদ্যুতহীন থাকা, মুদ্রাস্ফীতির কারণে দুধের গুঁড়া জাতীয় খাদ্যের ঘাটতি, ডলার সংকট সহ একাধিক কারণে রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, ঋণের বোঝায় জর্জরিত পড়শি দেশ। সাথে অনিয়ন্ত্রিতভাবে নোট ছাপানোর (১.২ ট্রিলিয়ন LKR) জন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিরোধীদের চাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অজিথ নিভার্ড ক্যাবরাল পদত্যাগ করেছেন।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি থেকে ডলারের মজুদ কমে আসা এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ভারত শ্রীলঙ্কাকে ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি আর্থিক সহায়তা দিয়ে সাহায্য করেছে।
- With IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন