শ্রীলঙ্কায় রটে গিয়েছিল পড়শি দেশ ভারত পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা পাঠাচ্ছে। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় কলম্বোর ভারতীয় হাইকমিশন। গত ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষকে জনগণের রোষে পরে পদত্যাগ করতে হয়। আর্থিক সংকটে জেরবার শ্রীলঙ্কা। আগুন জ্বলছে চারিদিকে। লঙ্কাবাসীদের মধ্যে অনেকে মনে করেন রাজাপক্ষ স্ব-পরিবারে ভারতে পালিয়েছেন।
বিভিন্ন দেশ থেকে ঋণ নিয়ে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি প্রায় শেষ বললেও ভুল কিছু বলা হবে না। বিগত বেশকিছুদিন ধরে রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে শ্রীলঙ্কার মানুষ। কার্যত ভয়াবহ পরিস্থিতি নেয় সাঙ্গাকারা, জয়সূর্যদের দেশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনবার জন্য নামানো হয় সেনাবাহিনীও। তারপরেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২২০ জনের ওপর আহত। এক সাংসদেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সম্প্রতি, এই পরিস্থিতিকে সামনে রেখে শ্রীলঙ্কায় রটে যায় প্রতিবেশী দেশ ভারত সেনা পাঠাবে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। তবে কলম্বোর ভারতীয় হাইকমিশন টুইট করে জানায়, ‘ শ্রীলঙ্কায় সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু অংশ যে তুলনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, ভারত তার সাথে একমত নয়। এই রিপোর্ট ও এই ধরণের মতামত ভারত সরকারের অবস্থানের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়”। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গতকাল স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে শ্রীলঙ্কার গণতন্ত্র , স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ওপর ভারতের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, ১৯৮৭ সালে একবার শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি খারাপ হয়েছিল। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গান্ধী। তিনি ইন্দো-শ্রীলঙ্কা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠিয়েছিলেন। সেই সময় প্রায় ২ হজারের বেশী সেনা প্রাণ হারায়। ভারতের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় তৎকালীন পরিস্থিতিকে সামাল দিতে। চলতি বছরেও শ্রীলঙ্কাকে ভারত প্রায় ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশী আর্থিক সহায়তা করেছে বলে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন