শ্রীলঙ্কার ২২৫ জন সাংসদের মধ্যে ১৩৪ জনের সমর্থন পেয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। কিন্তু, এই ফলাফলে খুশি নন বিক্ষোভকারীরা। ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে 'রনিল গো হোম' ('Ranil Go Home') শ্লোগান তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
'নতুন ভবিষ্যতের' ডাক দিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে শ্রীলঙ্কার মানুষ। গোটাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফার দাবিতে বিক্ষোভে নামেন সাধারণ মানুষ থেকে ক্রিকেট তারকারা। ভয়ে দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যান গোটাবায়া।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিক্রমাসিংহে আসলে গোটাবায়া রাজাপক্ষেরই প্রতিমূর্তি। দেশ ছেড়ে পালানোর আগে গোটাবায়ে রাজাপক্ষে নিজেরই 'হাতের পুতুল' রনিল বিক্রমাসিংহে-কে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রভাবশালী রাজাপক্ষে পরিবারের খুবই ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হলেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীদের নেতা মেলানি গুনাথিলাকে (Melani Gunathilake) জানিয়েছেন, 'আমাদের বক্তব্য খুবই পরিস্কার। রনিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা গোটাগোগামাতে অবরোধ এবং আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা তাঁকে কখনই চাইনি।'
তিনি বলেন, 'আমরা খুব ভালো করেই জানি, গোটাবায়া রাজাপক্ষের মতো নন রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি আরও ধূর্ত ব্যক্তি। সম্প্রতি জরুরী অবস্থা জারি এবং বায়ু সেনা পাঠিয়ে গোটাগোগামারআন্দোলন দমাবার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু আমি মনে করি না যে মানুষ আর এই ধরনের পদক্ষেপে ভয় পেয়ে যাবে।'
হুমকির সুরে বিক্ষভকারীরা আগেই জানিয়েছিলেন, রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe) যদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন, তাহলে আবার আন্দোলনে নামা হবে। এমনকি, নাগরিক অধিকার মঞ্চ থেকে ট্রেড ইউনিয়নগুলি বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে 'যুদ্ধ' ঘোষণা করেছে। তাঁদের অভিযোগ, প্রথম থেকেই রাজাপক্ষে পরিবারকে রক্ষার চেষ্টা করে গিয়েছে বিক্রমাসিংহে।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছিলেন, বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে সকল সাংসদ ভোট দেওয়া উচিত। না হলে- 'গোটা গো হোম' ('Gota Go Home') স্লোগানের পরিবর্তে 'রনিল গো হোম' ('Ranil Go Home')-এ শ্লোগান উঠবে। সেই ধ্বনিতেই আবার কাঁপছে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি ভবন। এখন দেখার পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন