চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন যে, তাইওয়ান চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং ‘মাতৃভূমির হাতে’ ফিরে আসবে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন ‘তাইওয়ান একদিন ঠিক মাতৃভূমির হাতে ফিরে আসবে’। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে চীনের বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একহাত নিয়েছেন আমেরিকাকে। তিনি বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু শক্তি তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষ নিচ্ছে, তাইওয়ানবাসীকে উস্কে দিচ্ছে। ‘এক চীন’ নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে এমন কোনকিছুই আমরা মেনে নেব না। তাঁর কথায় - “চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাইওয়ানকে ব্যবহার করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে।”
ওয়াং আরও বলেছেন যে, চীন মার্কিন চাপের ক্রমবর্ধমান প্রেক্ষাপটে জাতীয় সার্বভৌমত্বকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে এবং এই লক্ষ্যে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে চীন। ফেব্রুয়ারিতে, তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকার এই সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছে চীন। মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা লকহিড মার্টিন এবং রেথিয়ন টেকলনজির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন ওয়াং।
প্রসঙ্গত, চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দক্ষিণ চীন সমুদ্রের দ্বীপ তাইওয়ান নিজেদের স্বায়ত্বশাসিত রাষ্ট্র বলে দাবি করে। এদিকে, চীন মনে করে তাইওয়ান চীনেরই অঙ্গ। তাইওয়ান বহু বার নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে চেয়েছে। কিন্তু তাইওয়ানের সেই দাবি বারবার রুখে দিয়েছে চীন।
তবে ঐতিহাসিকভাবে তাইওয়ান চীনের অংশ বলেই জানা যায়। ১৯৪৯ সালের গৃহযুদ্ধে মাও সে তুং-র নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বাহিনীর কাছে চিয়াং কাইশেকের নেতৃত্বাধীন কুওমিনতাং গোষ্ঠী পরাজিত হয়ে তাইওয়ানে চলে যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন