বিশ্ব বাজারে মার্কিন ডলারের একচেটিয়া আধিপত্য কমাতে নতুন ভাবনা ব্রিকস (BRICS) দেশগুলির। এবার ব্রিকসে থাকা দেশগুলির মধ্যে নতুন আন্তর্জাতিক মুদ্রায় ব্যবসা চালু হবে। যাতে একমত হয়েছে ভারত, চীন, রাশিয়া, ব্রাজিলের এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলি।
তাহলে কি সংকটে মার্কিন ডলারের ভবিষ্যৎ? ব্রিকসের সিদ্ধান্তে সেই আশঙ্কা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, আগস্ট মাস থেকে নতুন মুদ্রা চালু করতে পারে ব্রিকসের দেশগুলি। প্রথমদিকে দেশীয় মুদ্রার লেনদেন হলেও ভবিষ্যতে ব্রিকসের সম্মেলনে ডিজিটাল মুদ্রা প্রচলনের প্রস্তাবও দেওয়া হবে বলেই জানা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রিকস দেশগুলি যদি নতুন কোনো মুদ্রার প্রচলন করে তাতে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ডলার এবং আইএমএফ-র স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস মুদ্রা। এই মুদ্রা প্রচলনে অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে চীনের। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই চীন বিশ্বের একাধিক দেশের সাথে ইউয়ানে ব্যবসা করতে শুরু করে। যার জেরে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে থাকে একাধিক দেশ। বিশ্ববাজারে পশ্চিমাদের আধিপত্য ভেঙে ফেলতেই নতুন মুদ্রা প্রচলনের ভাবনা ব্রিকসের।
পুতিন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভার মতো রাষ্ট্র নেতারা সরাসরি মার্কিন ডলার বর্জন করার ডাকও দিয়েছেন। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলির উচিত ডলারের পরিবর্তে নতুন মুদ্রার কথা ভাবা। ওই মুদ্রাতেই ব্যবসা করে নিজেদের অর্থনীতিকে শক্ত করার কথা ভাবতে হবে। সম্প্রতি চীন সফরে গিয়েছিলেন লুলা। চীনের সাথে স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে নয়া বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রার কতা বলেছিলেন। এই মুদ্রা চালু হলে পশ্চিমাদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। খুব দ্রুত আন্তর্জাতিক বাজারে দুর্বল হতে থাকবে ডলার, পাউন্ডের গুরুত্ব।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, বিশ্ব বাজারে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনও মার্কিন ডলার, ইউরো এবং পাউন্ডের প্রচলনই বেশি। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে মুদ্রাগুলির কিছুটা হলেও গুরুত্ব কমতে থাকে। এমনকি ইরান, সৌদি আরবের মতো দেশগুলি রাশিয়া ও চীনের সাথে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন