আবারও নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করতে চলেছে মার্কিন লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। নিজেরদের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এমনটাই জানিয়েছে তারা। যদিও বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪শে জানুয়ারি ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’ আদানি গ্রুপ সংক্রান্ত প্রথম তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্টে দাবি করা হয়, আদানি গ্রুপ দশকের পর দশক ধরে শেয়ারের ক্ষেত্রে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতিতে জড়িত। অর্থাৎ আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়ানো হয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে – গত তিন বছরে যে ১০০ বিলিয়ন ডলার সম্পদ বৃদ্ধি হয়েছে আদানি গ্রুপের, তা মূলত ‘স্টক ম্যানিপুলেশন’ করেই হয়েছে। এভাবেই তাদের সম্পদ ৮১৯ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। শুধু তাই নয়, কর ছাড় পাওয়া যায় এমন দেশে ‘ভুয়ো সংস্থা’ তৈরি করে আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ উঠেছে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে।
এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই হু হু করে পড়তে থাকে আদানি গ্রুপের সব সংস্থার শেয়ারের দাম। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি ট্রান্সমিশন।
ধনীদের তালিকায় একসময় দ্বিতীয় স্থানে থাকা গৌতম আদানি বর্তমানে ২৩ তম স্থানে নেমে এসেছেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে একমাত্র ভারতীয় হিসেবে আছেন মুকেশ আম্বানি। ২৪ জানুয়ারির পর থেকে এখনও পর্যন্ত আদানি গোষ্ঠীর সম্পদের মূল্য কমেছে ৬০%-র বেশি।
উল্লেখ্য, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের প্রভাব কেবলমাত্র আদানি গ্রুপের উপরে পড়েনি, প্রভাব পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতিতেও। প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা এলআইসি (LIC) থেকে শুরু করে এসবিআই (SBI)। তবে, হিন্ডেনবার্গের পরবর্তী রিপোর্ট কতটা প্রভাব ফেলবে ভারতীয় অর্থনীতিতে – তা সময়ই বলবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন