ভয়াবহ তুষার ঝড়ের কবলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক রাজ্য। রবিবারের তুষার ঝড়ের ফলে তাপমাত্রা হঠাৎই মাইনাস ৩০-৪০ ডিগ্রিতে নেমে যায়। ঝড়ের ফলে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
প্রতিবছরই আমেরিকার নিউইয়র্ক সহ একাধিক রাজ্যে তুষারপাত হয়। তবে রবিবারের তুষার ঝড় যে এতটা ক্ষয়ক্ষতি করবে তা প্রশাসন আন্দাজ করতে পারেনি। আমেরিকার পূর্বের রাজ্যগুলিতে ঝড়ের প্রভাব বেশি ছিল। পাঁচদিন ধরে চলতে থাকা ঝড়ের জন্য প্রায় ২ লক্ষ মানুষ উৎসবের দিনে বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে। এই ধরণের আবহাওয়াকে 'বম্ব সাইক্লোন'-ও বলা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মার্কিন প্রশাসন বিদ্যুৎ বিভাগকে জরুরী অবস্থায় কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। বেশিরভাগ বাড়িতে বিদ্যুৎ ফিরলেও এখনও প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অন্ধকারে রয়েছে।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল বলেন, রাস্তাগুলিতে এত বরফ পড়েছে গাড়ি নিয়ে যাওয়া এখন যুদ্ধ জয় করার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাও আমরা চেষ্টার কোনো খামতি রাখছি না। যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৭ সালে এমন ভয়াবহ তুষার ঝড়ের সাক্ষী থেকেছিল মার্কিন মুলুক। ২০২২ তুষার ঝড়ের কথাও পরবর্তী প্রজন্ম মনে রাখবে। বাতাসের তীব্রতা ও বরফের পরিমাণ প্রচুর বেশি।
নিউইয়র্কের পাশাপাশি বাফেলোর রাস্তা, মাঠ ৮ ফুট পুরু বরফে ঢেকেছে। দৈনন্দিন জীবন-যাপন ব্যাহত হয়েছে। আমেরিকার ন’টা রাজ্য মিলিয়ে আপাতত ৩২ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্যি মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই দাবি মার্কিন প্রশাসনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সকলকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কানাডাতেও একই অবস্থা। মানুষ বাড়ি থেকে অন্যত্র যেতে পারছে না। এক নাগরিক অভিযোগ করেন, পরিস্থিতি এত খারাপ হওয়া সত্ত্বেও দমকল বিভাগ থেকে কোনো সাহায্য মিলছে না। ঝড়ের ভয়াবহতার কারণে শুক্র, শনি ও রবিবার মিলিয়ে প্রায় ১৩ হাজারটি বিমান উড়ান বাতিল করা হয়েছে। যার জেরে আটলান্টা, শিকাগো, ডেট্রয়েট, ডেনভার ও নিউইয়র্কের বহু বিমানযাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। নিউ ফাউনল্যান্ডে এখনও তুষার ঝড়ের দাপট রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন