রবিবার বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। তার আগেই ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট ডাকলো খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। যার জেরে আগামীকাল নির্বাচনে ব্যাপক অশান্তির আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ।
নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে ৩ জন খুন হয়েছেন। যার জেরে শনিবার থেকেই ধর্মঘট পালন করছে বিরোধী দল বিএনপি। শনিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে বলেই জানিয়েছে বিএনপি। বিএনপির যুগ্ম সচিব রুহুল কবির শুক্রবারই এই হরতালের কথা জানান।
বিএনপি যদি লাগাতার হরতাল পালন করতে থাকে তাহলে নির্বাচনের দিন বাংলাদেশ জুড়ে অশান্তি ছড়াতে পারে। ভোট দিতে বেরোবেন আওয়ামী লিগের সমর্থকরা। হরতাল চলতে থাকলে তাঁরা বাধা পাবেন এটাই স্বাভাবিক। ফলে দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে তৈরি রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে বিএনপি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনে সমস্ত দলের প্রার্থীকেই শান্তিপূর্ণ ভাবে লড়তে দিচ্ছে না আওয়ামী লিগ। শেখ হাসিনার দল নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচন চায় না। তাই এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না অন্যান্য দল।
বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে এই নির্বাচন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ সরকারের সমালোচনা করছেন আবার কেউ প্রশংসাও করছেন। আবার কেউ কেউ নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন। বাংলাদেশের এক নাগরিক বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের কাজে তিনি খুশি। অনেক উন্নতি করেছে এই সরকার। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য একজন বলেন, নির্বাচনটি কার্যত প্রতিদ্বন্দ্বীহীন একটা নির্বাচন হতে চলেছে। কারণ দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাই আওয়ামী লিগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন