গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ‘ট্রামি’র দাপটে ফিলিপিন্সে ঘরছাড়া লক্ষাধিক মানুষ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের দুটি রাজ্যে এই মুহূর্তে দাপট চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। ঝড়টি ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালিয়েছে। তবে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলেই জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। ঠিক একই ভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপিন্সে আছড়ে পড়েছে ‘ট্রামি’। ফিলিপিন্সে বিকোল অঞ্চল এবং বাতাঙ্গাস প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এই ঝড়ের কারণে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ইসাবেলা প্রদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডিভিলাকানে আছড়ে পড়ে এই ঝড়। ঝড়ের তাণ্ডবে আপাতত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের শহরগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয় বিস্তীর্ণ এলাকায়। বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ঘরছাড়া প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। এই বিপর্যয়ের কথা স্বীকার করেছেন ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস। মাটি নরম হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে বাধা পাচ্ছে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।
বন্যা ও ভূমিধ্বসের কারণে ফিলিপিন্সে পর্যটন শিল্পে ক্ষতি হয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। বিভিন্ন দোকান ও স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিপিন্স প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ‘ট্রামি’ স্থানীয় ভাবে তীব্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়। ফিলিপিন্স ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই ধরণের ঝড় বছরে গড়ে ২০টি করে হয়। যার জেরে বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামরার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ডানা। সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগাম সতকর্তা হিসাবে ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকা থেকে ৬ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছিল।৮,৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন